জয়নাব ধর্ষণ ও হত্যায় দুই ভাই গ্রেপ্তার

জয়নাবের জন্য ন্যায় বিচার চেয়ে ইসলামাবাদে রাস্তায় তারই বয়সী এক শিশু। ১১ জানুয়ারি। ছবি: রয়টার্স
জয়নাবের জন্য ন্যায় বিচার চেয়ে ইসলামাবাদে রাস্তায় তারই বয়সী এক শিশু। ১১ জানুয়ারি। ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের কাসুরে ছয় বছরের শিশু জয়নাবকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার জেলার বাইরে লুকানো অবস্থা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

৪ জানুয়ারি বাড়ির পাশে থেকে নিখোঁজ হয় জয়নাব। ৯ জানুয়ারি একটি আবর্জনার স্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় তার লাশ। এ ঘটনার পর ‘জাস্টিস ফর জয়নাব’ দাবিতে ১০ জানুয়ারি থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সেখানকার মানুষ। অপরাধীর খোঁজ দিলে এক কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

জয়নাবকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে লাহোরে এক বিক্ষোভ মিছিলে জয়নাবের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে শিশুরা। ১৪ জানুয়ারি। ছবি: রয়টার্স
জয়নাবকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে লাহোরে এক বিক্ষোভ মিছিলে জয়নাবের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে শিশুরা। ১৪ জানুয়ারি। ছবি: রয়টার্স

সূত্রের বরাত দিয়ে ডনের খবরে বলা হয়, তদন্তকারীরা জয়নাবের লাশের পাশে একটি খালি বাক্স পায়। ফরেনসিক পরীক্ষার সূত্র ধরে গতকাল একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ব্যক্তি ধর্ষণের ছয় মামলায় জড়িত। অপরজন তার ভাই। সে-ও ওই সব মামলার কয়েকটির আসামি।

সূত্র জানায়, এই দুই ভাই কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা। তারা কোথায় আছে, তা নিশ্চিত হতে কাসুরে তিন দিন ধরে কাজ করেছে লোকেটর ভ্যান।

জয়নাবকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে করাচিতে বিক্ষোভ। ১১ জানুয়ারি। ছবি: রয়টার্স
জয়নাবকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে করাচিতে বিক্ষোভ। ১১ জানুয়ারি। ছবি: রয়টার্স

জয়নাবকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ১০ জানুয়ারি যৌথ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। তারা ৩০০টি মোবাইল ফোনের তথ্য সংগ্রহ করেছে। সেখান থেকে ছয়জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে পাওয়া গেছে, যাদের সম্পর্কে আরও তদন্ত করা হবে। তারা জানায়, পুলিশ প্রায় ১ হাজার ৩০০ লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাদের অনেককে ডিএনএ পরীক্ষার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিদর্শক আরিফ নওয়াজ সাংবাদিকদের বলেছেন, সঠিক পথেই তদন্ত চলছে।

এ ঘটনায় জয়নাবের বাড়ির পাশে ঘোরাঘুরি করছে—এমন এক সন্দেহভাজনের নতুন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছে, পুলিশের যৌথ তদন্ত দল এ নিয়ে কোনো ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেনি।