কংগ্রেসের ধাক্কা এবার মধ্যপ্রদেশে

*এ বছরের শেষেই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন
*অনুষ্ঠিত হয়েছে মধ্যপ্রদেশের ১৯টি পৌরসভার নির্বাচন।
*৯ টিতে কংগ্রেস জিতেছে। বিজেপিও জিতেছে ৯টিতে

ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ১৯ পৌরসভার নির্বাচনে কেন্দ্রে শাসক দল বিজেপি ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেসের কাছে। নয়টি পৌরসভায় জিতেছে কংগ্রেস, নয়টিতে বিজেপি। একটিতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনের পর মধ্যপ্রদেশের পৌরসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের এই উত্থানে বিজেপির মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।

২০১৪ সালে ভারতের লোকসভার সর্বশেষ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। আর চরমভাবে পরাস্ত হয় কংগ্রেস। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় কংগ্রেস জেতে মাত্র ৪৪ আসনে। আর বিজেপি জেতে ২৮২ আসনে। এই নির্বাচনের পর ধস নামতে থাকে কংগ্রেসের রাজনীতিতে।

তবে বিজেপির কিছু সিদ্ধান্তে মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত, জিএসটি চালু এবং আঁধার পরিচয়পত্রকে ব্যাংকসহ সরকারি কাজে বাধ্যতামূলক করায় অনেকেই কিছুটা বিরক্ত হন। বিভিন্ন রাজ্যে গোহত্যা বন্ধসহ বিভিন্ন ইস্যুতেও সাধারণ মানুষ বিজেপির ওপর বিরক্ত হয়।

বিজেপির এসব কর্মসূচির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেস। বিশেষ করে নোট বাতিল, জিএসটি চালুর ঘটনায় মানুষ বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ হয়। মোদির রাজ্য গুজরাটে প্রথম ধরা পড়ে যে বিজেপির জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ছে। গত মাসে অনুষ্ঠিত হয় গুজরাট বিধানসভার ১৮২টি আসনের নির্বাচন। সেখানেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে মাঠে নামে কংগ্রেস। শাসনক্ষমতায় বিজেপি থাকলেও ১৮২ আসনের রাজ্য বিধানসভায় কংগ্রেস ছিনিয়ে নেয় ৭৮ আসন।

গুজরাটের পর মধ্যপ্রদেশের পৌর নির্বাচনের ধাক্কা এল। পৌর নির্বাচনের এ ফলাফল খুশি করেছে কংগ্রেসকে। এ বছরের শেষ দিকে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। এবারের পৌর নির্বাচনের ফলাফল ওই নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে কংগ্রেস।

আগামী ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ভারতের পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব এবার রাহুল গান্ধীকে দলের সভাপতি করে দলকে গুছাতে শুরু করেছে। কংগ্রেসের লক্ষ্য ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করা।