বিমানবন্দরে তিন মাস কাটাল পরিবারটি

থাইল্যান্ডের ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে তিন মাস কাটানোর পর বিমানবন্দরটি ত্যাগ করতে পেরেছে জিম্বাবুয়ের একটি পরিবার। জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে গতকাল সোমবার পরিবারটি বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

ওই পরিবারটিতে ১১ বছরের কম বয়সী চারটি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক চারজন সদস্য রয়েছেন। গত বছরের মে মাসে পরিবারটি প্রথম ব্যাংকক আসে। গত অক্টোবরে পরিবারটি সেখান থেকে যখন স্পেনে যাওয়ার চেষ্টা করে, তখন দেখতে পায়, তাদের যথাযথ ভিসা নেই। পরিবারটি পুনরায় থাইল্যান্ডে ঢুকতে পারেনি, কারণ তাদের পর্যটন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে তাদের জরিমানাও গুনতে হয়। এদিকে পরিবারটি জানায়, তারা তাদের দেশ জিম্বাবুয়েতেও ফিরতে পারবে না। কারণ সেখানে গেলে তাদের নির্যাতনের শিকার হতে হবে।

গত ডিসেম্বরে বিমানবন্দরের এক কর্মী পরিবারটির একটি শিশুর সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে বলেন, অমীমাংসিত পরিস্থিতির কারণে পরিবারটি বিমানবন্দরে বাস করছে। ওই পোস্টের পর বিষয়টি সবার নজরে আসে।

পরিবারটি জাতিসংঘের সহায়তা কামনা করে জানায়, গত নভেম্বরে জিম্বাবুয়েতে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে ফিরে গেলে তাদের নির্যাতনের সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওই বিক্ষোভে জিম্বাবুয়ের দীর্ঘ দিনের নেতা রবার্ট মুগাবে ক্ষমতাচ্যুত হন।

পরিবারটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ জানায়, তারা বিষয়টি বিবেচনা করছে। এই সময়ের মধ্যে পরিবারটি বিমানবন্দরেই বাস করে আসছিল। বিমানবন্দরের কর্মীরা তাদের দেখাশোনা করতেন।

থাই অভিবাসন ব্যুরোর মুখপাত্র জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত গতকাল সোমবার পরিবারটি বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। ফিলিপাইনের উদ্দেশে পরিবারটি বিমানবন্দর ত্যাগ করে। সেখানে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার শরণার্থীশিবির রয়েছে। তবে ওই শরণার্থীশিবিরই পরিবারটির চূড়ান্ত গন্তব্য কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।