ওপারের যশোর রোড

পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল বা হরিদাসপুর সীমান্ত থেকে বারাসাত। এই ৬০ কিলোমিটার পথই হলো ঐতিহাসিক যশোর রোড। বাংলাদেশের যশোর থেকে শুরু হয়ে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরের শ্যামবাজার পর্যন্ত এই পথ। দৈর্ঘ্য ১২৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশে রয়েছে ৩৫ কিলোমিটার আর বাকিটা পশ্চিমবঙ্গে।

যশোর রোডের প্রধান আকর্ষণ দুপাশে থাকা শতবর্ষী গাছ। অনেক ইতিহাসের সাক্ষী এরা। যশোর রোডের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে।

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের ভেতরে থাকা যশোর রোড আরও প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে বৃক্ষপ্রেমী ও পরিবেশবাদীরা। তাঁরা যশোর রোডের বৃক্ষরাজিকে বাঁচানোর জন্য আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলন আর প্রতিবাদের মুখে গাছগুলো কাটার ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কলকাতা হাইকোর্ট। বাংলাদেশেও একই ঘটনা ঘটেছে।

এখানে সবচেয়ে বেশি পুরোনো গাছের দেখা মেলে, পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে বারাসাতের মন্ডলগাতি পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার সড়কে। তবে দেখা গেছে, দত্তপুকুরের পর বড় এবং পুরোনো গাছ চোখে কম পড়ে। যশোর রোডের ঐতিহাসিক এসব গাছের ছবি পাঠিয়েছেন আমাদের কলকাতা প্রতিনিধি অমর সাহা।

১ / ৮
পেট্রাপোল বা হরিদাসপুর সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় আসার পথে জয়ন্তীপুর এলাকায় গাছগুলোকে মাঝে রেখে রাস্তা বাড়ানো হয়েছে।
পেট্রাপোল বা হরিদাসপুর সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় আসার পথে জয়ন্তীপুর এলাকায় গাছগুলোকে মাঝে রেখে রাস্তা বাড়ানো হয়েছে।
২ / ৮
বকচর, কলকাতা
বকচর, কলকাতা
৩ / ৮
গাইঘাটা, কলকাতা
গাইঘাটা, কলকাতা
৪ / ৮
বাঘনা, কলকাতা
বাঘনা, কলকাতা
৫ / ৮
ধর্মপুর, কলকাতা
ধর্মপুর, কলকাতা
৬ / ৮
কলাসীমা, কলকাতা
কলাসীমা, কলকাতা
৭ / ৮
অশোকনগর, কলকাতা
অশোকনগর, কলকাতা
৮ / ৮
মানিকতলা, কলকাতা
মানিকতলা, কলকাতা

যশোর রোডের এর পরের অংশে ঐতিহাসিক গাছের দেখা কম পাওয়া যাবে। এখান থেকে শুরু বৃহত্তর কলকাতা শহরের। কলকাতা এয়ারপোর্ট, মধ্যমগ্রাম, নাগেরবাজার এলাকার যশোর রোডের দুপাশে থাকা গাছের আর অস্তিত্ব নেই বললে চলে। নগরসভ্যতা বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে যশোর রোডের গাছগুলো এখানে হারিয়ে গেছে।