সাদ্দামকন্যা মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায়

সাদ্দাম হোসেনের বড় মেয়ে রাঘাদ। ছবি: রয়টার্স
সাদ্দাম হোসেনের বড় মেয়ে রাঘাদ। ছবি: রয়টার্স

ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের বড় মেয়ে রাঘাদসহ ৬০ জনকে রেখে মোস্ট ওয়ান্টেডের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে দেশটির সরকার।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে আজ সোমবার এ কথা জানানো হয়েছে। জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস), আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদা ও নিষিদ্ধ বাথ পার্টির (সাদ্দাম হোসেনের দল) সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে—এমন অভিযোগ আনা হয়েছে ওই ৬০ জনের বিরুদ্ধে।

বার্তা সংস্থা এএফপি ইরাক সরকারের করা ওই তালিকা হাতে পেয়েছে। তাতে সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে রাঘাদের নামও রয়েছে। রাঘাদ বর্তমানে জর্ডানে বসবাস করছেন।

সন্দেহভাজন এই ৬০ ব্যক্তির মধ্যে ২৮ জন আইএস, ১২ জন আল-কায়েদা ও ২০ জন বাথ পার্টির সঙ্গে জড়িত বলে ওই তালিকায় উল্লেখ করা হয়। সন্দেহভাজন এই ব্যক্তিরা তাঁদের সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নীতি ইরাকে প্রয়োগ করছে বলে দেশটির সরকার দাবি করছে। এই তালিকায় থাকা ৫৯ জনই ইরাকের নাগরিক। অন্যজন লেবাননের নাগরিক। তাঁর নাম মান বাশহুর।

এ তালিকায় সাদ্দাম সরকারের অনিয়মিত বাহিনী ফাদায়েন পার্লামেন্টারি অর্গানাইজেশনের কর্মকর্তা ফাওয়াজ মুহাম্মদ মুকলাবের নামও রয়েছে। অবশ্য পরে তিনি আইএসে যোগ দিয়েছেন। তবে মজার বিষয় হলো এ তালিকায় আইএস প্রধান আবু বকর-আল বাগদাদির নাম নেই। বাগদাদির নাম কেন তালিকায় নেই, তা জানতে চেয়ে এএফপির পক্ষ থেকে ইরাক সরকারের নিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু ওই কর্মকর্তা এর কারণ ব্যাখ্যা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, ‘বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বিভাগের দৃষ্টিতে এরা সন্ত্রাসী। প্রথমবারের মতো আমরা তাদের নাম প্রকাশ করেছি।’

সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে ২০০৩ সালে মার্কিন বাহিনী ইরাকে অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ক্ষমতাচ্যুত সাদ্দামকে ২০০৬ সালে ফাঁসি দেওয়া হয়। প্রায় ২৪ বছর দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন সাদ্দাম হোসেন।