ইসরায়েল ভাঙে স্কুল, গড়ে বেদুইনরা

পশ্চিম তীরের হেবরনে ফিলিস্তিনের স্কুলের শিশুরা গত রোববার জাতীয় পতাকা নেড়ে নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্য বিনিময় করছে। ছবি: এএফপি
পশ্চিম তীরের হেবরনে ফিলিস্তিনের স্কুলের শিশুরা গত রোববার জাতীয় পতাকা নেড়ে নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্য বিনিময় করছে। ছবি: এএফপি

২০১৬ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এ নিয়ে পাঁচবার একই ঘটনা ঘটল। ইসরায়েল প্রতিবার গাজার দখলীকৃত পশ্চিম তীরে বেদুইনদের জন্য তৈরি একটি নির্দিষ্ট স্কুল ভেঙে দিচ্ছে। আর প্রতিবারই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহায়তায় স্থানীয় বেদুইনরা নতুন করে তৈরি করছে স্কুলটি।

ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ গত রোববার গাজার পশ্চিম তীরে অবস্থিত স্কুলটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল ওই স্কুল। স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও কিছু বেসরকারি উন্নয় সংস্থা স্কুলটি তৈরি করেছিল। মূলত এসব সংস্থার অর্থায়নেই পরিচালিত হতো স্কুলটি।

স্কুলটি ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনিদের দাবি, এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো স্কুলটি ভেঙে দিল ইসরায়েল।

অন্যদিকে ইসরায়েল বলছে, আদালতের আদেশই স্কুলটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালত বলেছেন, দখলীকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের গড়ে তোলা অননুমোদিত ভবন সরিয়ে ফেলতে হবে। সেই আদেশ অনুযায়ীই কাজ হয়েছে।

তবে ফিলিস্তিনিরা বলছে, ইহুদি বসতি সম্প্রসারিত করার জন্য জমি দখল করতে পরিকল্পিতভাবেই এ কাজ করা হয়েছে।

পাহাড়ের চূড়ায় তৈরি করা স্কুলটির দুটি শ্রেণিকক্ষ মূল ভবন থেকে কিছুটা দূরে ছিল। গত রোববার ভোরে ফিলিস্তিনি গ্রাম আবু নুয়ারে অভিযান চালিয়ে ওই শ্রেণিকক্ষ দুটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ফিলিস্তিনের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা সায়েব এরেকাত বলেছেন, স্কুলটি ভেঙে ফেলার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করল ইসরায়েল।