অ্যাসাঞ্জের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার হচ্ছে

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। আজ মঙ্গলবার আদালত এ সিদ্ধান্ত নেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়। 

আদালত এ জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাতে অ্যাসাঞ্জ লন্ডনে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাস ত্যাগ করতে পারেন। অ্যাসাঞ্জ ওই দূতাবাসে ২০১২ সালের জুন থেকে আছেন।

গত সপ্তাহে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী মার্ক সামার্স লন্ডনের একটি আদালতকে বলেন, ‘অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার উদ্দেশ্য ও কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলেছে।’ আদালতকে মার্ক আরও বলেন, অ্যাসাঞ্জ এখন যে পরিবেশে আছেন, তা কারাগারের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।

২০১০ সালে সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে দুই নারীকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি ইকুয়েডরের ওই দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। অ্যাসাঞ্জের ভয় ছিল দূতাবাসের বাইরে গেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সুইডেনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সুইডেন গত বছরই অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। কিন্তু অ্যাসাঞ্জ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালতে উপস্থিত হননি, জামিন আবেদনও করেননি। ফলে নিয়মমাফিক তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার করতে আজকের দিন পর্যন্ত তৎপর ছিল ব্রিটিশ পুলিশ। তবে আদালতের এ সিদ্ধান্তের পর পরিস্থিতি কোনো দিকে যায় তা পরবর্তী সময়ে বলা যাবে।

এর আগে গত ১১ জানুয়ারি ইকুয়েডর আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাসাঞ্জকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দেয়।