ইরাকে শিশুদের জন্য বিনিয়োগ চায় ইউনিসেফ

ইরাকে প্রতি চারজন শিশুর একজন দারিদ্র্যের শিকার। দেশটিতে ইসলামিক স্টেট বা আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফলে প্রায় ৪০ লাখ শিশুর জন্য সাহায্যের প্রয়োজন। জাতিসংঘের জরুরি শিশু তহবিল ইউনিসেফ গতকাল রোববার এ তথ্য জানায়।

ইউনিসেফের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘ ১৫০টি শিক্ষাকেন্দ্র ও ৫০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। ইরাকের অর্ধেকের বেশি বিদ্যালয় সংস্কার করা প্রয়োজন। সেখানে ৩০ লাখের বেশি শিশুর পড়াশোনা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ডিসেম্বরে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার ঘোষণা দেয় ইরাক। ২০১৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আইএস-অধ্যুষিত এলাকা দখল করেছে রাষ্ট্রীয় সেনারা। দেশটির অর্থনীতিতে টিকিয়ে রাখা ও দেশ গঠনের জন্য যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও কৃষি খাতে দেশটি ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ চায় ইরাক।

ইউনিসেফ বলছে, চলতি সপ্তাহে ‘কুয়েত কনফারেন্স ফর ইরাক’ শীর্ষক সম্মেলনের মাধ্যমে শিশুদের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের একটি সুযোগ হিসেবে নিতে পারেন বিশ্বনেতারা। শিশুদের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে টেকসই ইরাক গঠনে ভূমিকা রাখতে তাঁরা আগ্রহী।

আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় জোটের নেতৃত্ব দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র কুয়েত সম্মেলনের মাধ্যমে ইরাকের জন্য অর্থ সাহায্য দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা করেনি বলেই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা।