মন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের যৌনতা নিষিদ্ধ: অসি প্রধানমন্ত্রী

অস্ট্রেলিয়ায় মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। ছবি: রয়টার্স
অস্ট্রেলিয়ায় মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ায় মন্ত্রীদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল আজ বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেন। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাবেক প্রেস সচিবের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী বারনাবি জয়েস (৫০) তাঁর প্রেস সচিব ভিক্কি ক্যাম্পিওনের (৩৩) সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এই সম্পর্কের একপর্যায়ে ওই প্রেস সচিব সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন। এ খবর অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর উপপ্রধানমন্ত্রী বারনাবি জয়েসের ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় গত সোমবার থেকে ছুটিতে আছেন জয়েস। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্যও করেননি তিনি।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। তিনি উপপ্রধানমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডকে ‘জঘন্য ত্রুটি’ বলে আখ্যা দেন। টার্নবুল আরও বলেছেন, এখন থেকে কোনো মন্ত্রী তাঁর অধস্তন কর্মীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়াতে পারবেন না। এ সময় জয়েসের সঙ্গে প্রেস সচিবের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের নিন্দা জানান তিনি।

টার্নবুল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘একজন মন্ত্রী তাঁর কর্মীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়াতে পারেন না। ২০১৮ সালে এসে এটি গ্রহণযোগ্য নয়। এটি কর্মক্ষেত্রের জন্য আদর্শ নয়। প্রত্যেকেরই জানা উচিত যে এসব ঘটনা থেকে ভালো কিছু হয় না।’ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে তিনি আরও বলেছেন, বৃহস্পতিবার থেকেই এ ঘোষণা কার্যকর হবে।

উপপ্রধানমন্ত্রী বারনাবি জয়েস দেশটিতে ‘পারিবারিক মূল্যবোধ’বিষয়ক প্রচারাভিযান চালানোর জন্য পরিচিত। তাঁর বিবাহিত জীবন ২৪ বছরের।

এদিকে সরকারের একজন উচ্চপদস্থ মন্ত্রীর এই কর্মকাণ্ডে অস্বস্তিতে পড়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক জোট। লিবারেল পার্টির নেতৃত্বে আছেন ম্যালকম টার্নবুল এবং জয়েসের রাজনৈতিক দল হচ্ছে ন্যাশনাল পার্টি। তবে এ ঘটনার পরও উপপ্রধানমন্ত্রী জয়েসকে বরখাস্ত করেননি টার্নবুল। কারণ তাতে পার্লামেন্টে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হুমকির মুখে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অন্যদিকে এ ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বারনাবি জয়েসের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। রিচটেলের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, জয়েসের প্রতি ভোটারদের সমর্থন ৬৩ শতাংশ থেকে কমে ৪৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে জয়েস দাবি করেছেন, মন্ত্রীদের আচরণবিধি ভাঙেননি তিনি।