নির্বাচনের দুই মাস পর নেপালে নতুন প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচনের দুই মাস পর নতুন প্রধানমন্ত্রী পেল নেপাল। দেশটির বামপন্থী রাজনৈতিক দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মার্ক্সবাদী ও লেনিনবাদী) বা সিপিএন-ইউএমএলের প্রধান কে পি শর্মা ওলি গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন।
গৃহযুদ্ধ-পরবর্তী নেপালের প্রথম সংবিধানের অধীনে গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে জয়ী হয় সিপিএন-ইউএমএলের নেতৃত্বাধীন বাম মোর্চা। তবে ক্ষমতা হস্তান্তর বিলম্বিত করে ক্ষমতাসীন নেপালি কংগ্রেস। নতুন সংবিধানে নির্বাচনী আইনের যেসব বিধিবিধান আছে তা কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, তা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্যই এই বিলম্বের কারণ।
২০০৬ সালে নেপালে মাওবাদী বিদ্রোহের অবসান হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী পদে বদল হলো ১১ বার। গত বছর নেপাল হিন্দু রাষ্ট্র থেকে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ফেডারেল প্রজাতন্ত্র হয়, যেখানে গোটা দেশকে সাতটি প্রদেশে ভাগ করা হয়েছে। এই সংবিধানের অধীনে নির্বাচনে বাম মোর্চা পার্লামেন্টে ২৭৫ আসনের মধ্যে ১৭৪টি আসন পায়। ভোটাররা দেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি বলে বিবেচিত স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য নতুন সরকারকে নির্বাচিত করেছেন। আশা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে হিমালয়ের দেশ নেপালে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে।
প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি ৬৫ বছর বয়সী কে পি শর্মা ওলিকে দেশটির ৪১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। নেপালের রাজনীতিতে ওলি চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত। এর আগে ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
এর আগে আট মাস দায়িত্ব পালন শেষে গতকাল শের বাহাদুর দেউবা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।