কেঁদেকেটে টাকা আয়

সিলভেস্টার রিকার্ডো মসের কান্নার ছবি। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।
সিলভেস্টার রিকার্ডো মসের কান্নার ছবি। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।

চাইলেই কি হুট করে কাঁদা যায়? দুঃখ-কষ্ট থেকে কান্না না এলে কেইবা কাঁদে? সেই কান্নাকে পেশা হিসেবে নিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি ফেসবুকে নিজের কান্নাভেজা মুখের দুটি ছবি পোস্ট করেন সিলভেস্টার রিকার্ডো মস নামের এক ব্যক্তি। ছবির ওপরে তিনি লিখেছেন, ‘কেউ কি শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান মহিমান্বিত করতে চান? তাহলে আমাকে ভাড়া করুন। আমি ওই অনুষ্ঠানে গিয়ে কেঁদে আসব।’

শেষবিদায়ের অনুষ্ঠানে ভাড়া করা মানুষ দিয়ে কাঁদানোর বিষয়টি একদম নতুন রীতি নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই এই প্রথা চালু আছে। ভারতেও অনেক অঞ্চলে শত শত বছর ধরে শেষকৃত্যে বিলাপ করে কান্নাকাটির জন্য লোক ভাড়ার রীতি চালু আছে।

তবে ফেসবুকে এমন বিজ্ঞাপন অভিনব। কত টাকায় কী ধরনের কান্না করবেন, সেই তালিকাও পোস্টে দিয়ে দেন সিলভেস্টার। তিনি লেখেন, ‘এখন গ্রীষ্মের ছাড় দিচ্ছি। স্বাভাবিক কান্নার দাম ৫০ ডলার, বাহামা কান্নার দাম ১০০ ডলার। কান্নার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে গড়াগড়ির দাম ১৫০ ডলার। কান্নার সঙ্গে সঙ্গে কবরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টার দাম ২০০ ডলার আর আর কাঁদতে কাঁদতে কবরের ওপর লুটিয়ে পড়ার দাম এক হাজার ডলার।’ আগ্রহী প্রার্থীদের ইনবক্সে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়।

অল্প সময়ের মধ্যে অদ্ভুত এই পোস্ট ভাইরাল হয়। প্রায় দুই লাখ মানুষ এতে লাইক দেন। মন্তব্য করেন ১ লাখ ৫২ হাজার। শেয়ার দেন প্রায় ১ লাখ ৭৮ হাজার জন। মন্তব্যে বিষয়টিকে মজার হিসেবে নিয়ে কেউ কেউ এ পেশায় যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কেউবা প্রিয়জনকে ট্যাগ করে জানতে চান তাঁর শেষকৃত্যে এই ব্যক্তিকে ভাড়া করা হবে কি না? এক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, কবরে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাদামাটি মাখলে কত দাম দিতে হবে?

বিমান চালনাবিদ্যায় পড়াশোনা করা সিলভেস্টার রিকার্ডো বাহামা দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দা। ওই দেশেই সরকারি চাকরি করছেন তিনি।