হোটেলে কক্ষ পেলেন না মোদি!

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

কর্ণাটকের মহীশুর শহর সফরে গিয়ে ভারতের প্রায় সব প্রধানমন্ত্রী হোটেল ললিথা মহাল প্যালেসে রাত্রিযাপন করতেন। দেশটির একসময়ের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীও সেখানে থেকেছেন। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ হয়ে গেছে অনিন্দ্য স্থাপত্যশৈলীতে ভরা দুই তলাবিশিষ্ট হোটেলটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৬ সালে মহীশুরে সফরে গিয়ে দুই দিন ললিথা মহাল প্যালেসে কাটান। এবারও সেই হোটেলে থাকার ইচ্ছা ছিল। মহীশুর সফরে গিয়ে গত রোববার সন্ধ্যায় হোটেলটিতে রাত্রিযাপন করতে চান তিনি। কিন্তু হোটেলটিতে পর্যাপ্ত কক্ষ না পাওয়ায় সে ইচ্ছা এ দফায় পূরণ হলো না।

মঙ্গলবার এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়েছে, একটি বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য ললিথা মহাল প্যালেসের প্রায় সব কক্ষ বুকড ছিল। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর সফরসঙ্গীরা সেখানে কোনো কক্ষ পাননি।

হোটেলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোসেফ মেথিয়াস বলেন, ‘নিরাপত্তাকর্মীসহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর স্টাফদের জন্য এক কর্মকর্তা হোটেলের কক্ষ বুকিং দিতে আসেন। কিন্তু আমরা তাঁদের জন্য কিছু করতে পারিনি। কারণ, একটি বিবাহ-পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য ৫৪টির মধ্যে তিনটি বাদে সব কক্ষ বুকড ছিল। তবে ওই তিন কক্ষ তাঁদের থাকার জন্য পর্যাপ্ত ছিল না।’

পরে কর্ণাটকের হাসান জেলা প্রশাসনের বিকল্প ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর সফরসঙ্গীরা হোটেল রেডিসন ব্লুতে রাত্রিযাপন করেন।

চুমুদি পাহাড়ের পাদদেশ ১৯৩১ সালে মহীশুরের মহারাজা দুই তলাবিশিষ্ট হোটেলটি নির্মাণ করেন। সে সময় ভারতের ভাইসরয় ও ব্রিটেনের অতিথিরা সেখানে এসে অবকাশ যাপন করতেন। পরে এটি কর্ণাটক সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১৯৭৩ সাল থেকে ভারতীয় পর্যটন উন্নয়ন করপোরেশন হোটেলটি পরিচালনা করে আসছে।