বুদ্ধগয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

জঙ্গি নূর আলম। ছবি: সংগৃহীত।
জঙ্গি নূর আলম। ছবি: সংগৃহীত।

তিব্বতের ধর্মগুরু দালাই লামাকে হত্যার চক্রান্তে জড়িত সন্দেহে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্কফোর্স নূর আলম নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গি।

কলকাতা পুলিশের দাবি, নূর আলমের বাড়ি বাংলাদেশের খুলনায়। মুর্শিদাবাদ জেলার ধুলিয়ান শহরের কামাত এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় মোট পাঁচজন সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে এসটিএফ। নূর আলমকে শুক্রবারই কলকাতার নগর দায়রা আদালতে তোলা হয়।

গ্রেপ্তার পাঁচ জঙ্গি হলেন শেখ জামিরুল, শেখ পয়গম্বর, শিস মহম্মদ, আহম্মদ আলী কালু ও নূর আলম। বুদ্ধগয়া সফরের সময় তিব্বতের ধর্মগুরু দালাই লামাকে হত্যার চক্রান্ত করার অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলার তদন্ত করছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। জেএমবি ভারতে এখন তাদের নাম পাল্টে রেখেছে জামায়াতে মুজাহেদুল অব ইন্ডিয়া (জেএমআই)।

পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রতিশোধ নিতে তাঁরা দালাই লামাকে হত্যার ছক কষেছিল।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, শেখ পয়গম্বর ও শেখ জামিরুলকে জেরা করে শিস মহম্মদ ও আহম্মদ আলী কালুর সন্ধান পাওয়া যায়। আহম্মদ আলী ঝাড়খন্ডের পাকুর থেকে মুর্শিদাবাদ ফেরার পথে নিউ ফারাক্কা রেলস্টেশনে গ্রেপ্তার হয়। অন্যদিকে শেখ জামিরুল, শেখ পয়গম্বর, শিস মহম্মদ ও নূর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয় মুর্শিদাবাদ ও দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পবিত্র তীর্থভূমি বুদ্ধগয়ার ৪ নম্বর গেটের কাছে গত ১৯ জানুয়ারি বিকেলে একটি খাবারের দোকানে বিস্ফোরণ ঘটে। ওই দিনই এলাকা তল্লাশি করে আরও দুটি আইইডি উদ্ধার করে পুলিশ। বুদ্ধগয়ার ৫ নম্বর গেটের কাছ থেকে আরও প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। বিহার পুলিশ ৪ ফেব্রুয়ারি এনআইএর কাছে এ মামলার তদন্তভার হস্তান্তর করে।