রাখাইনে তিনটি বোমা বিস্ফোরণ

বোমা বিস্ফোরণের পর সচিবের বাড়ির প্রাঙ্গণের দৃশ্য এটি। ছবিটি মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সংগ্রহ করেছে রয়টার্স।
বোমা বিস্ফোরণের পর সচিবের বাড়ির প্রাঙ্গণের দৃশ্য এটি। ছবিটি মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সংগ্রহ করেছে রয়টার্স।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তোর আশপাশে বিভিন্ন স্থানে তিনটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি বলে দেশটির পুলিশ এএফপিকে জানিয়েছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, আজ শনিবার স্থানীয় সময় ভোর চারটার দিকে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আরও তিনটি বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এতে এক পুলিশ কর্মকর্তা সামান্য আহত হয়েছেন।

বোমা তিনটির মধ্যে একটি বিস্ফোরিত হয় রাজ্য সরকারের এক সচিবের বাড়ির প্রাঙ্গণে। অন্য দুটির একটি অফিসের সামনে এবং সমুদ্রসৈকতে যাওয়ার প্রধান পথে বিস্ফোরিত হয়। এতে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জ জ এএফপিকে ফোনে জানায়, বোমা বিস্ফোরণের পর পুলিশ কিছু রাস্তায় চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।

বিস্ফোরণের পর বাড়িটি পুলিশ নিরাপত্তা বেষ্টনি দিয়ে ঘিরে রাখে। ছবিটি মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সংগ্রহ করেছে রয়টার্স।
বিস্ফোরণের পর বাড়িটি পুলিশ নিরাপত্তা বেষ্টনি দিয়ে ঘিরে রাখে। ছবিটি মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সংগ্রহ করেছে রয়টার্স।

গত বুধবারও মিয়ানমারের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর ডেশিওতে একটি ব্যাংকে বোমা বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটে। এতে দুই ব্যাংক কর্মী নিহত ও ১১ জন আহত হয়।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে গত আগস্টে তল্লাশিচৌকিতে হামলার পর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা দলে দলে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, এ দফায় প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই রোহিঙ্গাদের প্রায় সবাই অভিযোগ করেছে, মিয়ানমারের সেনারা রাখাইনে অভিযানের নামে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে।

জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এ অভিযানকে জাতিগত নির্মূল বলে আখ্যায়িত করেছে। তবে মিয়ানমার বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।