ইইউ বিভক্তির ব্যাপারে সতর্কতা

ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের সদর দপ্তর। ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮। ছবি: সরাফ আহমেদ।
ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের সদর দপ্তর। ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮। ছবি: সরাফ আহমেদ।

ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজেট সম্মেলনে ইইউ কমিশনার জ্যঁ ক্লদে ইয়ুঙ্কার জোটে পূর্ব ও পশ্চিম ইউরোপের মধ্যে বিভক্তির ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। জ্যঁ ক্লদে ইয়ুঙ্কার গতকাল শুক্রবার বলেছেন, ইউরোপে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয় এবং জোট সদস্যদের আর্থিক অনুদানের ব্যাপারটি যেন বিভক্তির পর্যায়ে না যায়। জ্যঁ ক্লদে ইয়ুঙ্কার বলেন, ইউরোপ আগে অনেক বিভক্তি দেখেছে। ইতিমধ্যে জোটের পূর্ব ও পশ্চিম অংশের দেশগুলোর মধ্য যে খাল তৈরি, তা যেন আরও গভীর না হয়।

গতকাল ব্রাসেলস ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৯২১-২৭ সালের মধ্যে ছয় বছরের জন্য বাজেট আলোচনা শুরু হয়েছে। বাজেট আলোচনায় ২৭ সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা বাজেট আলোচনাসহ যুক্তরাজ্যের ইইউ জোট ছেড়ে যাওয়ার কারণে বাজেটে যে আপাত ঘাটতি হবে, তা নিয়েও আলোচনা করবেন।

এই সম্মেলন শুরুর আগেই জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল জার্মানির পার্লামেন্টে বলেছেন, ভবিষ্যতে ইইউ জোটের অনুন্নত সদস্য দেশগুলোর কাঠামো নির্মাণের জন্য যে আর্থিক অনুদান দেওয়ার নীতি রয়েছে, সেখানে নতুন শর্ত যুক্ত করা হবে। উদাহরণস্বরূপ তিনি জোট সদস্যদের শরণার্থীদের নেওয়ার অঙ্গীকার ও ইউরোপীয় মূল্যবোধের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন।

উল্লেখ্য, ইউরোপের পূর্বের দুই দেশ পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি ইইউ জোটের সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েও এখন শরণার্থীদের নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। অথচ এই দেশ দুটি তাদের উন্নয়ন কাঠামোর জন্য জোট থেকে বিশাল অঙ্কের অনুদান পাচ্ছে।

আঙ্গেলা ম্যার্কেলের এই বক্তব্যকে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী সমর্থন করেছেন আর পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ম্যাথিউজ মোরাভেস্কি, ব্রাসেলসে হঠাৎ করেই সুর নরম করে ইইউয়ের শর্তগুলো মেনে চলার কথা বলেছেন। ম্যার্কেল ভবিষ্যতে ইইউ তহবিলে আরও অর্থ প্রদানের অঙ্গীকার করেছেন। ইইউ জোট থেকে যুক্তরাজ্যের চলে যাওয়ার কারণে জোটটির বাজেটে ১৪০ মিলিয়ন ইউরো ঘাটতি পড়বে। এ ঘাটতি মেটাতে জোটটির আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী দেশগুলোর সহযোগিতার কথা রয়েছে। ইইউয়ের অর্থ ও বাজেটবিষয়ক কমিশনার গুন্থার ওয়েটিংগেনের সভাপতিত্বে গতকাল থেকে শুরু হওয়া সভায় আগামী ২০২১-২৭ অর্থ বাজেটের সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হবে।