রেডক্রসের ২১ কর্মী যৌনকর্মী ভাড়া করেছিলেন

আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) জানিয়েছে, যৌনকর্মী ভাড়া করার জন্য গত তিন বছরে তাদের ২১ জন কর্মী চাকরিচ্যুত হয়েছেন বা চাকরি ছেড়েছেন। আজ শনিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

আইসিআরসির মহাপরিচালক ইভ ড্যাকোর্ড গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিন বছরে তাঁদের কর্মীদের যাঁরা যৌনকর্মী ভাড়া করেছিলেন সংস্থাটি থেকে সেই কর্মীরা চাকরিচ্যুত হয়েছেন বা পদত্যাগ করেছেন।

সম্প্রতি দাতা সংস্থাগুলোতে অবৈধ যৌনাচারের বেশ কিছু অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে শুক্রবার আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি এ তথ্য প্রকাশ করল। ২০০৬ সাল থেকে রেডক্রসের কর্মীদের আচরণবিধিতে যৌনকর্মী ভাড়া করা নিষিদ্ধ।

ড্যাকোর্ড বলেন, সাহায্য সংস্থাগুলোতে অবৈধ যৌনাচারের বিষয়ে সম্প্রতি খবর বের হয়। এরপর জেনেভা-ভিত্তিক আইসিআরসি অভ্যন্তরীণভাবে একটি পর্যালোচনা করে। তিনি বলেন, ‘আমি আমার দলকে কর্মীদের অবৈধ যৌনাচারের ঘটনার তথ্য বের করতে বলি। এবং আমি আপনাকে বলতে পারি, ২০১৫ সাল থেকে আমরা এ পর্যন্ত ২১ জন কর্মীকে শনাক্ত করি যাঁরা যৌনকর্মী ভাড়া করার কারণে চাকরিচ্যুত হয়েছেন বা তদন্ত চলাকালে চাকরি ছেড়েছেন।’

এর আগে হাইতিতে ২০১০ সালে ভূমিকম্প-পরবর্তী ত্রাণ তৎপরতা চালানোর সময় ‘অক্সফামের ভবনে যৌনকর্মী ভাড়া করার বিষয়টি স্বীকার’  করেন হাইতিতে নিয়োজিত তৎকালীন দাতব্য সংস্থাটির পরিচালক রোল্যান্ড ভ্যান হাওয়ারমায়ারেন। হাইতিতে সংস্থার কর্মীদের যৌন কেলেঙ্কারির বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা অক্সফাম।