১১০ ছাত্রীর খোঁজ মেলেনি

হামলার পর স্কুলের উঠানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে চপ্পল। ছবি: এএফপি
হামলার পর স্কুলের উঠানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে চপ্পল। ছবি: এএফপি

নাইজেরিয়ায় অপহরণের শিকার ১১০ স্কুলছাত্রীর খোঁজ মেলেনি। ছাত্রীদের খোঁজে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে দেশটির সরকার। শুরুতে ছাত্রী অপহরণের কথা অস্বীকার করলেও পরে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে সরকার।

গত সপ্তাহে জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম এই ছাত্রীদের অপহরণ করেছে বলে ধারণা। আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

গত সোমবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ইয়েবো রাজ্যের ডাপচি শহরে একটি স্কুলে আচমকা হামলা চালিয়ে ওই ছাত্রীদের অপহরণ করে জঙ্গিরা।

নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি এটাকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ উল্লেখ করে ছাত্রীদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

এর আগে ২০১৪ সালে চিবকে এভাবে স্কুলছাত্রী অপহরণের ঘটনা ঘটে। ওই সময় বোকো হারাম ২৭৬ জন স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে।

এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অভিভাবকেরা। কর্তৃপক্ষকে তাঁরা দোষারোপ করে বলছেন, গত মাসে ডাপচি শহরে মূল তল্লাশিচৌকি থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কারণেই এ ঘটনা ঘটে।

অপহরণের শিকার এক ছাত্রীর স্বজন কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। ছবি: রয়টার্স
অপহরণের শিকার এক ছাত্রীর স্বজন কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। ছবি: রয়টার্স

চিবকের প্রায় ২৭৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ডাপচির অবস্থান। সোমবার হামলার সময় গভর্নমেন্ট গার্লস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনিক্যাল কলেজের ছাত্রী ও শিক্ষকেরা ছুটোছুটি করে আশপাশের ঝোপঝাড়ে গিয়ে লুকান।

এলাকাবাসী জানান, নাইজেরিয়ার সামরিক জেট-সমর্থিত নিরাপত্তা বাহিনী পরে এসে হামলা প্রতিহত করে।

কর্তৃপক্ষ শুরুতে অপহরণের বিষয়টি অস্বীকার করে জানায়, ছাত্রীরা হামলাকারীদের ভয়ে লুকিয়ে আছে। পরে তারা স্বীকার করে, ১১০ জন ছাত্রী নিখোঁজ রয়েছে।

বোকো হারামের জঙ্গিরা এই অঞ্চলে ইসলামিক স্টেটের রাজত্ব কায়েম করতে বহু দিন ধরে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে। ২০১৪ সালে চিবক থেকে ২৭৬ জন স্কুলছাত্রী অপহরণের ঘটনার পর বিশ্বব্যাপী হ্যাশট্যাগ দিয়ে ব্রিংব্যাকআওয়ারগার্লস (আমাদের মেয়েদের ফিরিয়ে আনো) আন্দোলন শুরু হয়। ওই ঘটনায় ১০০ ছাত্রীর খোঁজ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।