রাশিয়ার নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

• ১৮ মার্চ রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
•  আসন্ন সাধারণ নির্বাচন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
• রাশিয়া মনে করে, কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও সেখানের জীবনযাত্রায় হস্তক্ষেপ করা ঠিক নয়।

রাশিয়ায় ১৮ মার্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আটজন প্রার্থী। নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র—এমন অভিযোগ রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার। এ নিয়ে হইচই পড়ে গেছে রুশ গণমাধ্যমে।

সম্প্রতি একটি রুশ টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাখারোভা বলেন, ‘রাশিয়ার আসন্ন সাধারণ নির্বাচন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত দুটি প্রাসঙ্গিক কারণে রাশিয়ার নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ রয়েছে। প্রথমত, এটি আবার যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রহসন। আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশটির রাজনীতি তাদের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সমর্থন পেতে ব্যর্থ হচ্ছে।’

দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের চিরাচরিত ধারাবাহিক তৎপরতার বহিঃপ্রকাশ। তা হলো বিশ্বের সব অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে তাদের নাক গলানো।
এনটিভি নামের রুশ টেলিভিশন চ্যানেলের ‘ইতোগি নিদেলি’ অনুষ্ঠানে জাখারোভা বলেন, ‘এমন কোনো অঞ্চল আপনি পাবেন না, যেখানে ওয়াশিংটন নিজের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেনি। রাশিয়া মনে করে, অন্য যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও সেখানের জীবনযাত্রায় হস্তক্ষেপ করা ঠিক নয়।’

জাখারোভা বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের কাছে পরিষ্কার এবং তা বারাক ওবামার প্রশাসন থেকেই প্রকাশ্যে শোনা যাচ্ছিল।’

এমন পরিস্থিতিতে তাহলে রাশিয়ার কী করা উচিত?

এমন প্রশ্নের জবাবে জাখারোভা বলেন, ‘রাশিয়ার উচিত হবে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দেওয়া। তা ছাড়া এ ধরনের যেকোনো প্রচেষ্টাকে সবার সামনে এনে প্রকাশ করতে হবে। দরকার হলে আমাদের সমুচিত জবাব দিতে হবে।’

মারিয়া জাখারোভা বলেন, বিষয়টি আসলে যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যগত বৈশিষ্ট্য এবং মার্কিন প্রশাসন নিজেদের এ ঐতিহ্য থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না।

গতকাল বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে শেষ ভাষণ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। প্রায় দুই ঘণ্টা বক্তব্য দেন তিনি। এ সময় নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি কোন কোন খাতকে অগ্রাধিকার দেবেন, তা উল্লেখ করেন। এ ছাড়া তিনি নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

আসন্ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একমাত্র নারী প্রার্থী হলেন ৩৫ বছর বয়সী টেলিভিশন উপস্থাপিকা কেসেনিক সোবচাক। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক নেতা আলেক্সেই নাভালনিকে এরই মধ্যে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।