বাঘ ধরতে গিয়ে দুই বনকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার লালগড়, শালবনী ও গোয়ালতোড়ের বনাঞ্চলে বাঘের আনাগোনার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল গত দুদিন ধরে। ফলে ওই সব এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে থাকে। রাতে গ্রামবাসীরা দল গঠন করে জঙ্গলও পাহারা দিচ্ছিল।

বন বিভাগও গোয়ালতোড়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে নিশ্চিত হয়েছে যে, এই জঙ্গলে বাঘ এসেছে। এর আগে কুশকাঠি গ্রামের বাসিন্দা জয়রাম সোরেনকে বাঘ আক্রমণ করার ঘটনাও ঘটেছিল।

ফলে বন বিভাগ সোমবার রাতে গোয়ালতোড়ের হামারগোড়া জঙ্গলে বাঘ ধরার জন্য খাঁচা পাতে। আর এই খাঁচার প্রতি নজর রাখার জন্য দুই বনকর্মীকে একটি গাড়িসহ পাহারায় নিয়োজিত করা হয়। এই দুই বনকর্মী হলেন : ফরেস্ট গার্ড দামোদর মুর্মু (৩৪) ও বন বিভাগের গাড়ির চালক অমল চক্রবর্তী (২৮)।

আজ মঙ্গলবার সকালে বনকর্মীদের কয়েকজন খাঁচায় বাঘ ধরা পড়েছে কিনা তা দেখতে জঙ্গলে যান। কিন্তু ওই দুই বনকর্মীর গাড়ি বন্ধ দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। তাঁরা কাচের জানালা দিয়ে দেখতে পান দুজনেই গাড়ির মধ্যে অচেতন অবস্থায় রয়েছেন। পরে গাড়ির দরজা ভেঙে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের সহযোগীতায় লাশ নেওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

বনকর্মীরা বলছে, মৃত দুই বনকর্মীর দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না।

পুলিশ বলেছে, গভীর রাতে বাঘের আক্রমণের ভয়ে সম্ভবত দুই বনকর্মী গাড়ির সব দরজা বন্ধ করে শুয়ে ছিল। দম বন্ধ হয়ে তাঁদের মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়।