২৩ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য

থেরেসা মে
থেরেসা মে

রাশিয়ার ২৩ কূটনীতিককে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্য। সলসবারিতে সাবেক রুশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা সের্গেই স্ক্রিপাল (৬৬) ও তাঁর মেয়ে ইউলিয়ার স্ক্রিপালের (৩৩) ওপর রাশিয়ার তৈরি নার্ভ এজেন্ট ব্যবহারের বিষয়ে দেশটি কোনো ব্যাখ্যা না দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

থেরেসা মে বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওই কূটনীতিকদের যুক্তরাজ্য ছাড়াতে হবে। বিবৃতিতে ওই কুটনীতিকদের ‘অঘোষিত গোয়েন্দা কর্মকর্তা’ বলে চিহ্নিত করা হয়।

থেরেসা মে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া একটি আমন্ত্রণপত্রও প্রত্যাহার করেছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এ বছরের শেষের দিকে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবল আসরে যোগ দিচ্ছে না ব্রিটিশ রাজপরিবার।

তবে রাশিয়া শুরু থেকেই স্ক্রিপাল ও তাঁর মেয়েকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত নয় বলে জানিয়ে আসছে। যুক্তরাজ্যের ওই সিদ্ধান্তকে অগ্রহণযোগ্য, অন্যায্য এবং অদূরদর্শী বলে সমালোচনা করেছে রাশিয়ার দূতাবাস।

৪ মার্চ যুক্তরাজ্যের সলসবারি শহরের একটি বিপণিকেন্দ্রে বাইরে বেঞ্চিতে সের্গেই স্ক্রিপাল (৬৬) ও তাঁর মেয়ে ইউলিয়া স্ক্রিপালকে (৩৩) অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, তাঁদের দুজনের ওপর নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাঁরা ওই দিন দুপুরে যে রেস্তোরাঁয় খাবার খেয়েছিলেন, সেই রেস্তোরাঁর টেবিলে পুলিশ নার্ভ এজেন্টের আলামত পায়। এরপর থেকেই যুক্তরাজ্য গুপ্তচর দিয়ে স্ক্রিপাল ও তাঁর মেয়েকে রাশিয়া হত্যা করতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ করে আসছে। গত মঙ্গলবার রাতে এ নিয়ে সংসদে খোলামেলা বক্তব্যও দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

সের্গেই স্ক্রিপাল একসময় রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্নেল ছিলেন। ২০০৬ সালে তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ ওঠে। রাশিয়ায় তাঁর ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। এরপর ২০১০ সালে ১০ জন মার্কিন গুপ্তচরের বিনিময়ে তিনি ছাড়া পান। ওই বছরই সের্গেই যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেন।