সিকিমের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন আবার চালু
প্রায় নয় মাস বন্ধ থাকার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সিকিমের আবার পরিবহন চলাচল শুরু হচ্ছে। আজ শুক্রবার দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত হয়।
গত বছরের ১২ জুন থেকে দার্জিলিংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ডাকে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে দার্জিলিংয়ে শুরু হয়েছিল অনির্দিষ্টকালের বন্ধ্। আর এই বন্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। এই বন্ধ্কে ঘিরে সেদিন অশান্ত হয়েছিল দার্জিলিং। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন অভিযোগ তুলেছিলেন যে এই বন্ধ্কে উৎসাহিত করছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং। চামলিং প্রকারান্তরে দাঁড়িয়েছিলেন গোর্খাল্যান্ডের দাবির পাশে। আশ্রয় দিয়েছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুংকে। সেই থেকে সিকিমের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সম্পর্কে শীতলতা আসে। সিকিমে পশ্চিমবঙ্গের গাড়ি চলাচলের ওপর বাধা আরোপ করা হয়। এ নিয়ে সিকিমের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ফাটল ধরে।
কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে সিকিম-পশ্চিমবঙ্গের সম্পর্কে গতি আনতে আজ দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি শহরের উত্তরবঙ্গ রাজ্য সচিবালয় উত্তরকন্যায় এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক বসেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এক ঘণ্টা স্থায়ী এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সৃষ্ট বৈরিতার অবসান ঘটে। ফলে এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গের গাড়ি ঢুকতে পারবে সিকিমে।
বৈঠক শেষে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা জানিয়ে দেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। চামলিং বলেছেন, এ বৈঠকের মাধ্যমে আমাদের দুই রাজ্যের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। আমাদের ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে।’ মমতাও বলেন, ‘দার্জিলিং-সংক্রান্ত ভুল-বোঝাবুঝি মিটে গেছে। ছোটখাটো সমস্যাগুলোকে আমরা নিজেরা মিটিয়ে নেব।’
ছবি দিলাম মমতা ও চামলিংয়ের। মমতার ছবি নিজস্ব। চামলিংয়ের সংগৃহীত।