মাকে 'বন্দী' করেছেন সালমান!

প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান
প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান
>

• মোহাম্মদ বিন সালমানের মা ফাহদার দুই বছর ধরে কোনো খোঁজ নেই।
• মায়ের ‘উধাও’ হওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন মোহাম্মদ বিন সালমান।
• চিকিৎসার জন্য মোহাম্মদ বিন সালমানের মা দেশের বাইরে ছিলেন।

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রহস্যজনকভাবে আড়ালে আছেন সৌদি যুবরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের মা। অভিযোগ উঠেছে, মোহাম্মদ বিন সালমান তাঁর মাকে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘বন্দী’ করে রেখেছেন। মাকে ‘লোকচক্ষুর’ আড়ালে রেখেছেন এবং বাবা সালমানের সঙ্গেও নাকি দেখা করতে দেন না বলেও কারও কারও অভিযোগ।

মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসি, ব্রিটিশ গণমাধ্যম টেলিগ্রাফসহ কয়েকটি গণমাধ্যম এমনটাই জানিয়েছেন।

৮২ বছর বয়সী বাদশাহ সালমানের তৃতীয় স্ত্রী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মা ফাহদা বিনতে ফালাহ আল হাতলেনের দুই বছরের বেশি সময় ধরে কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে মায়ের রহস্যজনকভাবে ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার নানা রকম ব্যাখ্যা দিয়েছেন মুহাম্মদ বিন সালমান। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার জন্য তাঁর মা দেশের বাইরে ছিলেন। তাঁর চিকিৎসা চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

সৌদি সরকার গণমাধ্যমের এমন খবর নাকচ করে দিয়েছে। মোহাম্মদ বিন সালমান তাঁর মাকে নিঃসঙ্গ করে রেখেছেন বলে যে অভিযোগ, তাও নাকচ করেছে সৌদি রাজপরিবার। ওয়াশিংটনে সৌদি আরবের দূতাবাসের একজন মুখপাত্র এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘এটা অবশ্যই সত্য নয়।’

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, তাঁরা বিশ্বাস করেন, ক্ষমতা দখলে যুবরাজের পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন এবং বাদশাহ সালমানকে এ জন্য প্রভাবিত করতে পারেন—এমন আশঙ্কায় যুবরাজ তাঁর মাকে কোথাও লুকিয়ে রেখেছেন। তিনি রাজপরিবার থেকে মাকে দূরে রেখেছেন।

গত বছর চাচাতো ভাইকে রাজ্যের যুবরাজের পদ থেকে সরিয়ে আলোচনায় আসেন ৩১ বছর বয়সী মুহাম্মদ বিন সালমান। এরপরই তিনি দুর্নীতি দমনের নামে প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসায়ীসহ পরিবারের অপর সদস্যদের গ্রেপ্তারে ভূমিকা রাখেন।

এমনকি দেশটির শীর্ষ ধনী প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালালকেও গত নভেম্বরে দুর্নীতির অভিযোগে আটক করা হয়। অর্থমন্ত্রী ইব্রাহিম আল আসসাফকেও আটক করা হয়। যুবরাজ ক্ষমতাগ্রহণের পর সেনাবাহিনী ও প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল ও অনেক কর্মকর্তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

 মোহাম্মদ বিন সালমানের বোনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ফ্রান্সে মোহাম্মদ বিন সালমানের বোনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। একজন কাজের লোক প্যারিসে তাঁর বিশাল ফ্ল্যাটের ছবি তোলেন। আর অনুমতি না নিয়ে এ কাজ করায় ওই ব্যক্তির ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দেন নিজের দেহরক্ষীকে। এরপরই দেশটির একটি আদালত ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।