লালুপ্রসাদ আবারও দোষী সাব্যস্ত

লালুপ্রসাদ যাদব। ফাইল ছবি
লালুপ্রসাদ যাদব। ফাইল ছবি

ভারতের বিহার রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব আলোচিত পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির চতুর্থ মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আজ সোমবার ঝাড়খন্ডের রাজধানী রাঁচির বিশেষ সিবিআই লালুকে দোষী সাব্যস্ত করে। 

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মোট ছয়টি মামলা হয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে। আজ এই মামলার অন্যতম আসামি বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আজকের মামলা ছিল দুমকা ট্রেজারি থেকে পশুখাদ্য ক্রয়ের নামে ৩ কোটি ১৩ লাখ রুপি আত্মসাতের অভিযোগ। ১৯৯৫-৯৬ সালে এই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে লালুপ্রসাদসহ ৩০ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
সর্বমোট ৮৯ কোটি রুপি তছরুপের অভিযোগ আছে পশুখাদ্য কেনার দুর্নীতির মামলায়। এর আগে ২০১৩ সালে চাইবাসা ট্রেজারি থেকে পশুখাদ্য কেনার জন্য ভুয়া ক্রয়ের রসিদ দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সিবিআইয়ের মামলায় লালুপ্রসাদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ২৫ লাখ রুপি জরিমানা হয় লালুপ্রসাদের। ওই মামলার পর লালুপ্রসাদ তাঁর সংসদ সদস্য পদ হারান এবং তাঁকে ছয় বছরের জন্য তাঁর নির্বাচনে দাঁড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। পরে লালুপ্রসাদ সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর প্রথম রায় ঘোষিত হয় দেওঘর ট্রেজারি থেকে পশুখাদ্য কেনার দুর্নীতি মামলার। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৬ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় ভুয়া ক্রয় রসিদ দেখিয়ে দেওঘর ট্রেজারি থেকে ৮৯ লাখ ২৭ হাজার রুপি আত্মসাৎ করেন লালুপ্রসাদ যাদব।
এ মামলায় অবশ্য গত ২৩ ডিসেম্বর বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রসহ সাতজনকে বেকসুর খালাস দেন সিবিআইর ওই বিশেষ আদালত। দোষী সাব্যস্ত করা হয় লালুপ্রসাদ যাদবসহ ১৬ জনকে। রায় ঘোষণার পর পুলিশ ওই দিনই লালুপ্রসাদকে নিয়ে যায় বিরসা মুন্ডা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
এরপর গত ৬ জানুয়ারি দেওয়া হয় দ্বিতীয় দেওঘর ট্রেজারির পশু কেলেঙ্কারি মামলার অর্থ আত্মসাতের রায়। তাতে লালুপ্রসাদকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ রুপি জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
গত ৬ জানুয়ারি পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তৃতীয় মামলায় রাঁচির সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত লালুপ্রসাদকে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ রুপি জরিমানা করেন। তা ছাড়া এই মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ রুপি জরিমানা করে বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রকেও।
বাকি দুটি মামলার বিচার চলছে পাটনা ও রাঁচির বিশেষ আদালতে।