বিমসটেককে আরও কার্যকর করার তাগিদ

সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য বিমসটেককে আরও কার্যকর করতে হবে।
বিমসটেক ও বিবিআইএন নিয়ে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে আজ সোমবার এ মন্তব্য করেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। তিনি বলেন, ‘বিমসটেক কীভাবে আরও বেশি কার্যকর ও সফল হতে পারে, সে বিষয়ে গভীরভাবে ভাবনাচিন্তার সময় এসে গেছে।’

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আজ এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বঙ্গোপসাগর এলাকার সাত দেশের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত উন্নতির উদ্দেশ্যে ১৯৯৭ সালে বিমসটেকের জন্ম। ওই সাত দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড।
দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের যে লক্ষ্য নিয়ে ‘সার্ক’ গঠিত হয়েছিল, তা বিভিন্ন কারণে থমকে রয়েছে। সেই অচলাবস্থায় বিমসটেক বড় ভূমিকা নিতে পারে। মোয়াজ্জেম আলী আলোচনাসভায় বলেন, সদস্যদেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি যতটা প্রয়োজন, ততটাই প্রয়োজন আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি। সে জন্য ‘ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট’ বা এফটিএর ওপর জোর দেওয়া দরকার। এ ছাড়া পারস্পরিক লগ্নি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই খুবই জরুরি। এ জন্য সদস্যদেশগুলোর মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন আলোচনা প্রয়োজন।
আঞ্চলিক স্তরে পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালকে নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল ‘বিবিআইএন’। চার দেশের মধ্যে মোটর চলাচল মসৃণ করতে চুক্তি সইও হয়েছিল। যদিও নানা কারণে সেই চুক্তি এখনো পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। বিবিআইএন নিয়ে আশাবাদী মোয়াজ্জেম আলী বলেন, মোটরযান চলাচল চুক্তি সই অবশ্যই এই সংগঠনের সাফল্য। এই প্রসঙ্গে আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ভারতে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভেটসপ নামগিয়াল বলেন, তাঁর দেশের সংসদের উচ্চকক্ষ কিছু কিছু আশঙ্কার কারণে এই চুক্তি এখনো অনুমোদন করেনি। আগামী দিনে সেই আশঙ্কা দূর হলে অনুমোদন আশা করাই যেতে পারে।
এই আলোচনা সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার রজিত মিটার। তিনিও এই দুই সংগঠনের সদস্য দেশগুলির মধ্যে নিবিড় যোগাযোগের ওপর জোর দেন। রজিত মিটার বলেন, সদস্যদেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক লগ্নি তো বটেই, বিশ্বের অন্য বড় অর্থনৈতিক শক্তিও যাতে এই অঞ্চলে লগ্নিতে এগিয়ে আসে সে জন্য দুই সংগঠনকে উদ্যোগী হতে হবে। আলোচনাসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্সের ‘ফেলো’ এম সমতা এবং আশিস শুক্লা।