পুতিন কোন দিকে যাবেন?

ভ্লাদিমির পুতিন
ভ্লাদিমির পুতিন

রাশিয়া, এমনকি গোটা বিশ্বের ওপর ভ্লাদিমির পুতিনের জোরালো প্রভাব রয়েছে। এখন আবার আরও ছয় বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকার জনগণের রায় পেলেন তিনি। ফলে দেশের মধ্যে তাঁর বিরোধীরা আরও ছয় বছরের জন্য চলে গেলেন পেছনের সারিতে। আর বিদেশে তাঁর বিরোধীরা পড়ে গেলেন নতুন করে অসুবিধায়। এখন রাশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী, প্রতিবেশী এবং দেশটির ১৪ কোটি ৭০ লাখ নাগরিক পুতিনের কাছ থেকে কী আশা করতে পারেন।

নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধ?
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তা সত্ত্বেও ২৬ বছর আগে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে পশ্চিমের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক এখনই সবচেয়ে তলানিতে। সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট নতুন পরমাণু অস্ত্র উন্নয়নের কথা জানান, যা কিনা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধব্যবস্থা দিয়েও শনাক্ত করা যাবে না।

সিরিয়া ও উগ্রপন্থীদের হুমকি
সিরিয়ায় পশ্চিমা মদদপুষ্ট বিদ্রোহীদের সবশেষ শক্ত ঘাঁটিতে এখন অভিযান চালাচ্ছে মস্কো-সমর্থিত বাশার আল আসাদের বাহিনী। সিরিয়ায় অবৈধ পশ্চিমা হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে ভূরাজনৈতিক ও সামরিক জয়ের পর সেখান থেকে রাশিয়া শিগগিরই সরে যাবে, এমন মনে করার কারণ নেই।

প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে
রুশদের কাছে পুতিনের ১৮ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে সবচেয়ে বড় সাফল্য প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অধিগ্রহণ করা। ন্যাটো জোট এবং ইইউতে সদস্যপদ পাওয়ার ইউক্রেনের আশা দুমড়ে-মুচড়ে দেওয়া। এটা রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর বার্তা যে পশ্চিমের দিকে মুখ ফেরানো তাদের জন্য সুখকর ফল বয়ে আনবে না।

রুশদের কাছে
নতুন ম্যান্ডেট পুতিনকে দিয়েছে রাশিয়ায় বড় ধরনের পুনর্গঠন আনার সুযোগ, যেটি রুশদের জীবনমান বাড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রত্যাশিত ব্যাপার ছিল। কিন্তু পুতিন ভোটারদের এ-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন যে আকস্মিক পরিবর্তন বিপজ্জনক হয় এবং হুমকি থেকে দেশকে সুরক্ষা দেওয়ার মধ্যেই প্রাত্যহিক জীবন উন্নত করার সুযোগ রয়েছে।