নির্বাচনে গাদ্দাফির অর্থ, সারকোজি পুলিশের হেফাজতে

নিকোলা সারকোজি ও লিবিয়ার প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি। ছবি: বিবিসি
নিকোলা সারকোজি ও লিবিয়ার প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি। ছবি: বিবিসি

ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। লিবিয়ার প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বিবিসি ও দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়েছে, অবৈধ নির্বাচনী তহবিল নিয়ে ওঠা অভিযোগের তদন্তে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নিজ হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ২০০৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় অবৈধ তহবিল ব্যবহার করা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
২০০৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সারকোজির জয়ের পেছনে মুয়াম্মার গাদ্দাফির অর্থের একটি তহবিল ভূমিকা রেখেছে, এ অভিযোগে ২০১৩ সালে বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয় ফ্রান্সে। অভিযোগ আছে, ২০০৭ সালে নিজের নির্বাচন পরিচালনার জন্য মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে পাঁচ কোটি পাউন্ড সহায়তা পেয়েছিলেন সারকোজি। গত পাঁচ বছর ধরে তদন্ত চলছে। সে বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্যারিসের ন্যান্টের পুলিশ স্টেশনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সারকোজির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ফ্রান্সের সাবেক মন্ত্রী ব্রাইস হর্টফিয়াক্সকেও ওই তহবিল নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

২০১২ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকা সারকোজি কোনো অবৈধ নির্বাচনী তহবিল গ্রহণের অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে আসছেন। তিনি লিবিয়ার কাছ থেকে অবৈধ অর্থ পাওয়ার অভিযোগকে অদ্ভুত বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। গত জানুয়ারিতে একজন সন্দেহভাজন ফরাসি ব্যবসায়ীকে যুক্তরাজ্যে গ্রেপ্তার করা হয় এবং লন্ডনের এক আদালতে হাজির করার পর জামিনে বেরিয়ে যান তিনি। তাঁর মাধ্যমেই গাদ্দাফির ওই অর্থ সারকোজির নির্বাচনী শিবিরে পৌঁছায় বলে ধারণা করেন তদন্তকারীরা।

নিকোলা সারকোজি ২০০৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১২ সালের নির্বাচনে হেরে যান সারকোজি।