পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির চতুর্থ মামলায় লালু প্রসাদ যাদবের ৭ বছরের কারাদণ্ড

লালু প্রসাদ যাদব। ফাইল ছবি
লালু প্রসাদ যাদব। ফাইল ছবি

বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির চতুর্থ মামলাতেও বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার রাঁচির সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত এই কারাদণ্ড দেন।

গত সোমবার লালু প্রসাদকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত।

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মোট ৬টি মামলা দায়ের হয়েছে লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে। এই চতুর্থ মামলায় লালুর দণ্ড হলেও এ মামলার অন্যতম আসামি বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আজকের মামলা ছিল দুমকা ট্রেজারি থেকে পশুখাদ্য ক্রয়ের নামে ৩ কোটি ১৩ লাখ রুপি আত্মসাতের অভিযোগ। ১৯৯৫-৯৬ সালে এই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে লালু প্রসাদসহ ৩০ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

সর্বমোট ৮৯ কোটি রুপির এই পশুখাদ্য কেনার দুর্নীতি নিয়ে বিহারের সিবিআই আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়। এর আগে ২০১৩ সালে চাইবাসা ট্রেজারি থেকে পশুখাদ্য কেনার জন্য ভুয়া ভাউচার দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সিবিআইর দায়েরকৃত মামলায় লালু প্রসাদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ২৫ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়। ওই মামলার পর লালু প্রসাদ তাঁর সাংসদ পদ হারান এবং তাঁকে ছয় বছরের জন্য নির্বাচনে দাঁড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। পরে লালু প্রসাদ সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান।

গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর প্রথম রায় ঘোষিত হয় দেওঘর ট্রেজারি থেকে পশুখাদ্য কেনার দুর্নীতি মামলার। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় ভুয়া ভাউচার দাখিল করে দেওঘর ট্রেজারি থেকে ৮৯ লাখ ২৭ হাজার রুপি আত্মসাৎ করেন।

এই মামলায় অবশ্য গত ২৩ ডিসেম্বর বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রসহ সাতজনকে বেকসুর খালাস দেন সিবিআইয়ের ওই বিশেষ আদালত। দোষী সাব্যস্ত করা হয় লালু প্রসাদ যাদবসহ ১৬ জনকে। রায় ঘোষণার পর পুলিশ ওই দিনই লালু প্রসাদকে নিয়ে যায় বিরসামুন্ডা কেন্দ্রীয় কারাগারে।

এরপর গত ৬ জানুয়ারি দেওয়া হয় দ্বিতীয় দেওঘর ট্রেজারির পশু কেলেঙ্কারি মামলার অর্থ আত্মসাতের রায়। তাতে লালু প্রসাদকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ রুপি জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড।

এদিকে গত ৬ জানুয়ারি পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তৃতীয় মামলায় রাঁচির সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত লালু প্রসাদকে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ রুপি জরিমানা করেন। এ ছাড়া এই মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ রুপি জরিমানা করেন বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রকেও।

বাকি দুটি মামলার বিচার চলছে পাটনা ও রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালতে।