মার্কিন 'ইটের' বদলে রুশ 'পাটকেল'!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (এএফপির ফাইল ছবি)
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (এএফপির ফাইল ছবি)

এ যেন ইটের বদলে পাটকেল! এবার যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করল রাশিয়া। একই সঙ্গে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে মস্কো।

বিবিসির খবরে বলা হয়, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এই বহিষ্কার ও কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৬০ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করার নির্দেশ দেন। একসঙ্গে সিয়াটলের রুশ কনস্যুলেটও বন্ধের আদেশ দেন। এর জবাবেই রাশিয়া এই সিদ্ধান্ত নিল।

যুক্তরাজ্যের সলসবারিতে সাবেক রুশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা সের্গেই স্ক্রিপাল (৬৬) ও তাঁর মেয়ে ইউলিয়া স্ক্রিপালের (৩৩) ওপর বিষ প্রয়োগের ঘটনাকে কেন্দ্র পাল্টাপাল্টি এই বহিষ্কারের ঘটনা ঘটল। এর আগে জার্মানি, ফ্রান্স এবং ইউক্রেনও রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়। এর বাইরে ইউরোপীয় বেশ কিছু দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেয়।

সের্গেই লাভরভ মার্কিন কূটনীতিকদের বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করে বলেন, রাশিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কারের পাল্টা জবাব হিসেবে মস্কো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাশিয়াও ৬০ জন মার্কিন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। সেন্ট পিটার্সবার্গে মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাবেক রুশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা সের্গেই স্ক্রিপাল ও তাঁর মেয়েকে বিষপ্রয়োগের ঘটনায় রাশিয়ার হাত রয়েছে বলে গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা একমত হন। তবে সলসবারির ওই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া।

৪ মার্চ যুক্তরাজ্যের সলসবারি শহরের একটি বিপণিকেন্দ্রে বাইরে বেঞ্চিতে সের্গেই ও তাঁর মেয়েকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, তাঁদের দুজনের ওপর নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাঁরা ওই দিন দুপুরে যে রেস্তোরাঁয় খাবার খেয়েছিলেন, সেই রেস্তোরাঁর টেবিলে পুলিশ নার্ভ এজেন্টের আলামত পায়।

সের্গেই স্ক্রিপাল একসময় রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্নেল ছিলেন। ২০০৬ সালে তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ ওঠে। রাশিয়ায় তাঁর ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। এরপর ২০১০ সালে ১০ জন মার্কিন গুপ্তচরের বিনিময়ে তিনি ছাড়া পান। ওই বছরই সের্গেই যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেন।