বিদায় উইনি!

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের সোয়েটোর একটি স্টেডিয়ামে শনিবার উইনি ম্যান্ডেলার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এতে কয়েক হাজার মানুষ যোগ দেয়। ছবি: এএফপি।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের সোয়েটোর একটি স্টেডিয়ামে শনিবার উইনি ম্যান্ডেলার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এতে কয়েক হাজার মানুষ যোগ দেয়। ছবি: এএফপি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা উইনি ম্যান্ডেলার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার জোহানেসবার্গের সোয়েটোর একটি স্টেডিয়ামে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার মানুষ যোগ দেয়।

উইনির কফিনটি ছিল জাতীয় পতাকায় মোড়ানো। প্রশংসাপত্র পাঠ করেন উইনির নাতি স্বাতী দিলামিনি। বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদী নেতা প্রয়াত নেলসন ম্যান্ডেলার সাবেক স্ত্রী উইনি ম্যান্ডেলা ২ এপ্রিল ৮১ বছর বয়সে মারা যান।

উইনি ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট ও অবিসংবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে ৩৮ বছর কাটিয়েছেন। নেলসন ম্যান্ডেলা ২৭ বছর কারাগারে থাকার সময় বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে দারুণ ভূমিকা পালন করেন উইনি। এই অসাধারণ ভূমিকা ও নেলসন ম্যান্ডেলার স্ত্রী হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার অনেকেই উইনিকে ‘জাতির মাতা’ হিসেবে বিবেচনা করেন। 

শেষ পর্যন্ত উইনি যুগপৎভাবে নন্দিত ও নিন্দিত নেতা হিসেবে থেকে গেছেন। তাঁর বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ স্পষ্টতই দুই ভাগে বিভক্ত। বর্ণবাদী প্রথার বিরুদ্ধে তাঁর প্রকাশ্য সংগ্রাম এবং সেই সংগ্রামে যুব সম্প্রদায়কে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে তিনি যে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন, সেটি এক পক্ষ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বীকার করে। অন্য পক্ষে তাঁর বহু শত্রু ও সমালোচক আছেন।