বরের পায়ে সোনার জুতা

সোনার জুতা পরে আলোচিত বর সালমান শাহিদ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে সংগৃহীত
সোনার জুতা পরে আলোচিত বর সালমান শাহিদ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে সংগৃহীত

বিয়ের অনুষ্ঠানে বর ও কনের স্বর্ণালংকার পরা নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে কনেদের বাহারি ডিজাইনের অলংকার দিয়ে সাজা অতি সাধারণ ঘটনা। কিন্তু বিয়েতে যখন বরকে আস্ত সোনার জুতা পরতে দেখা যায়, তখন সাধারণ মানুষের রীতিমতো ভিরমি খাওয়ার জো।

সম্প্রতি পাকিস্তানের লাহোরে বিয়ের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে বরকে পায়ে সোনার জুতা পরতে দেখা গেছে। ওই বরের নাম সালমান শাহিদ। তিনি লাহোরের একজন বড় ব্যবসায়ী। অনুষ্ঠানে স্বর্ণের জুতার সঙ্গে মিলিয়ে তিনি সোনালি রঙের স্যুট-টাইও পরেছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রোববার ভারতের এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বরের পরা স্যুটের দাম ৬৩ হাজার পাকিস্তানি রুপি, যা দেখতে স্বচ্ছ সোনার মতো। খাঁটি সোনায় তৈরি ৩২০ গ্রাম ওজনের জুতা জোড়ার দাম ১৭ লাখ রুপি। তাঁর পায়ে, গায়ে ও সারা শরীরে—সব মিলিয়ে ২৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি মূল্যের সাজসজ্জার সামগ্রী ছিল।

সালমান শাহিদ ও তাঁর পায়ে পরা সোনার জুতা। ছবি ইউটিউবে আপলোড করা ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
সালমান শাহিদ ও তাঁর পায়ে পরা সোনার জুতা। ছবি ইউটিউবে আপলোড করা ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া

এমন ব্যয়বহুল ও আলংকারিক রিসেপশনের বিষয়ে বর সালমান শাহিদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি সব সময় সোনার জুতা পরতে চেয়েছিলাম। মানুষ সোনা পরে তাঁদের গলায় কিংবা মাথায় মুকুট হিসেবে। আমি জনগণকে বলতে চেয়েছি যে সম্পদ হচ্ছে পায়ের পাতার ধুলার মতো। তাই সেখানেই রাখা উচিত।’ বিত্তবান এই বর একাধিকবার বলেন, ‘আমি সব সময় সোনার জুতা পরতে চেয়েছিলাম।’

তাঁর বিয়ের এমন রাজকীয় সাজপোশাকের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে ইনস্টাগ্রামে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এমন কাণ্ডের জন্য অনেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখালেও কেউ কেউ বিষয়টি অহেতুক অপব্যয় আখ্যা দিয়ে অবজ্ঞাও করেছেন। প্রসঙ্গত, জুতা চুরি এড়াতে অনুষ্ঠানে বর তাঁর সঙ্গে কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী রেখেছিলেন।