ইতিহাস কথা বলে
ইতিহাস কথা বলে। সেই ইতিহাস, যেখানে জীবন্ত হয়ে উঠেছে অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আপসহীন লড়াই, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও সেই যুদ্ধে ভারতের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার টুকরো টুকরো কাহিনি। সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনসের (আইসিসিআর) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনের এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন হলো দিল্লির আজাদ ভবন আর্ট গ্যালারিতে। এ উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের গবেষণা সংস্থা ‘দেশ একটি সম্মিলিত উচ্চারণ’।
বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কীভাবে ক্রমশ উন্নততর হয়ে উঠছে, কীভাবে স্বাধীনতার চেতনায় গড়ে উঠেছে একটা জাতি—তা দেখানোই এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী বলেন, স্বাধীনতার জন্য বাঙালি কত রক্ত দিয়েছে, আজকের প্রজন্মের চেতনায় তা গেঁথে দেওয়াই এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য। কষ্টার্জিত স্বাধীনতাসংগ্রামের চেতনা লালন করা আজকের দিনে সবচেয়ে জরুরি। এই প্রদর্শনী সেই জরুরি কাজটাই করে যেতে চায়।
আইসিসিআরের মহাপরিচালক রিভা গাঙ্গুলি দাস বলেন, যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করতে পেরে তাঁরা খুশি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান এই প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে। আগামী প্রজন্মের কাছে এ এক ঐতিহাসিক দলিল। বন্ধু দেশের সঙ্গে যৌথভাবে এই কাজ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে।
দেশ একটি সম্মিলিত উচ্চারণের সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসাম ছাড়াও এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে নেপাল, ভুটান ও ব্রিটেনে। দেশে-বিদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৪৩১টি প্রদর্শনী। সংগঠনের চেয়ারম্যান মোফিজুর রহমানও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।