বিশ্বভারতীতে মে মাসে উদ্বোধন হতে পারে বাংলাদেশ ভবন

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ ভবন। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ ভবন। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন আগামী মে মাসে হতে পারে। আজ বুধবার বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক সবুজকলি সেন এক বৈঠক শেষে এমন তথ্যই জানিয়েছেন।

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বভারতীতে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সবুজকলি সেন বাংলাদেশ ভবনের নির্মাণকাজের অগ্রগতি সম্পর্কে আসাদুজ্জামান নূরকে জানান। তিনি মন্ত্রীকে বলেন, এই ভবন নির্মাণের কাজ মোটামুটি শেষ হয়েছে। এখন কাজ বাকি রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের। কারণ, এখানের গ্রন্থাগার, সংগ্রহশালা ইত্যাদি সাজাবে বাংলাদেশ সরকার। বৈঠকে আসাদুজ্জামান নূর ছাড়াও বাংলাদেশের ১২ জনের একটি প্রতিনিধিদল যোগ দেয়।

ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার তাদের কাজগুলো শেষ করলেই আমরা বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের ব্যবস্থা নিতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মে মাসের শেষ সপ্তাহে আমরা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছি। এই উৎসবে বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যোগ দিতে পারেন। ওই সময়ে আমরা চাইছি বাংলাদেশ ভবনেরও উদ্বোধন হোক। আমাদের ইচ্ছা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর যৌথভাবে এ ভবনের উদ্বোধন করুন।’

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে আসাদুজ্জামান নূর বাংলাদেশ ভবনের নির্মাণকাজের অগ্রগতি ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাইছি আগামী মে মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করতে। শুনেছি, ওই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বভারতীতে আসার কথা রয়েছে। আমাদের ইচ্ছে, সেই সময় আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আসুন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই মৈত্রী ভবনের উদ্বোধন করুন।’

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বাংলাদেশ ভবনের সংগ্রহশালায় বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, কবিগুরুর জীবন এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন তুলে ধরা হবে।

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গেছে, আচার্য পদে অলংকৃত হওয়ার পর থেকে এখনো নরেন্দ্র মোদি শান্তিনিকেতনে আসেননি।

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের জন্য বিশ্বভারতী দুই বিঘা জমি দিয়েছে। আর বাংলাদেশ সরকার এই ভবন নির্মাণের জন্য ২৫ কোটি রুপি দিয়েছে। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর এ ভবন নির্মাণের প্রস্তাব গৃহীত হয়।