পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন। ফাইল ছবি
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন। ফাইল ছবি

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে জোর রাজনৈতিক ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন। কলকাতা হাইকোর্ট গতকাল শুক্রবার বিকেলে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দায়ের করা মামলার তিন দিনের শুনানি শেষে রায় দেন।

বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের একক বেঞ্চ জানান, পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশনকে নতুন করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করতে হবে। একই সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য আরও এক দিন বাড়াতে হবে, যাতে সবাই মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন।

কলকাতা হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের ১০ এপ্রিলের বিজ্ঞপ্তিটি খারিজ করে দিয়েছেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশর পর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য ১০ এপ্রিল পর্যন্ত এক দিন সময় বাড়িয়ে দিয়েছিল। ১০ এপ্রিল নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৯ তারিখের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য এদিন সময় বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন।

হাইকোর্টের এই নির্দেশে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার জোর ধাক্কা খেয়েছে। ধাক্কা খেয়েছে মমতার দ্রুত নির্বাচন করার পরিকল্পনাও। এ ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেস চাইছিল গতকাল শুক্রবারেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে আজ শনিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য তারিখ নির্ধারণ করতে। একই সঙ্গে আগামী ১৩ ও ১৫ মে নতুন করে দুদফায় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে। এতে সায় দেয়নি নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, যারা এই নির্বাচন নিয়ে মামলা করেছে, তাদের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী তারিখ নিয়ে ঘোষণা দেবে। এই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন চাইছে, আজ বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একটি বৈঠক করে নির্বাচনের নতুন তারিখ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। নির্বাচন কমিশন আরও চাইছে আগামী ১৪, ১৫ ও ১৬ জুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে। ফলাফল ঘোষণা করতে চাইছে ১৮ জুন। ফলে নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নিয়ে শুরু হয়েছে জটিলতা।

গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৮ হাজার ৬৫০টি আসন, পঞ্চায়েত সমিতির ৯ হাজার ২১৭টি আসন এবং জেলা পরিষদের ৮২৫টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে।