পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল সীমান্তে অভিবাসন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক বাংলাদেশি অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে

পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল সীমান্তে অভিবাসন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক বাংলাদেশি অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সেখানকার থানায় মামলাও হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকালে বাংলাদেশের বেনাপোল সীমান্ত পার হয়ে পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে কলকাতার বালিগঞ্জের এক দম্পতি। এই দম্পতি হলেন, আনন্দ দাশ গুপ্ত ও অর্পিতা পাল। এর মধ্যে অর্পিতা পাল বাংলাদেশি ও আনন্দ দাশ গুপ্ত বালিগঞ্জের বাসিন্দা। এক বছর আগে তাঁরা বিয়ে করেন। অর্পিতা পাল আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

আনন্দ দাশ বলেন, তাঁর পাসপোর্ট ভারতের আর অর্পিতার পাসপোর্ট বাংলাদেশের হওয়ায় পেট্রাপোলের অভিবাসন কর্মকর্তা স্বপন দফাদার অর্পিতাকে নানা জেরা করেন। তাঁকে ছয় ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখেন। এ সময় অর্পিতা তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা জানালেও ওই অভিবাসন কর্মকর্তা এতে কর্ণপাত করেননি। একপর্যায়ে অর্পিতার রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাঁর স্বামী বিষয়টি পেট্রাপোল থানায় জানান। পরে এক পুলিশ কর্মকর্তা এসে অর্পিতাকে পুলিশের গাড়িতেই বনগাঁ হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু অর্পিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার আর জি কর সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

অর্পিতা অভিযোগ করেন, একপর্যায়ে ওই অভিবাসন কর্মকর্তা তাঁদের কাছে ঘুষ চান। কিন্তু তা দিতে তাঁরা অসম্মতি জানান। ওই ঘটনার পর পেট্রাপোল সীমান্তে আসা যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা ওই অভিবাসন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। অবশ্য আনন্দ দাশ গুপ্ত অভিবাসন কর্মকর্তা স্বপন দফাদারের বিরুদ্ধে পেট্রাপোল থানায় মামলা করেছেন।