ভারতের কর্ণাটকে হতে পারে ঝুলন্ত বিধানসভা

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস বা বিরোধী বিজেপি কারোর পক্ষেই এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব হবে না। দুটি সংস্থার জরিপে এমন আভাস মিলেছে।

দক্ষিণী রাজ্য কর্ণাটকের বিধানসভার নির্বাচন আগামী ১২ মে। ২২৪ আসনের এই বিধানসভায় এখন ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। ২০১৩ সালের সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছিল ১২২টি আসন। বিজেপি পেয়েছিল ৪০টি এবং জনতা দল (এস) পেয়েছিল ৪০টি আসন।

কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে টাইমন নাউ এবং এবিপি-সিএসডিএস দুটি পৃথক জনমত সমীক্ষায় ইঙ্গিত দিয়েছে, কংগ্রেস বা বিজেপি কারোর পক্ষে এবার এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব হবে না। ক্ষমতায় যেতে হবে আঞ্চলিক দলের সমর্থন দরকার হবে। সে ক্ষেত্রে এখানের বড় আঞ্চলিক দল সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবড়ৌড়ার নেতৃত্বাধীন জনতা দল (এস) বা জনতা দল ধর্মনিরপেক্ষর সমর্থন দরকার হবে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া।

টাইমস নাউ-ভিএমআর তাদের সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলেছে, কংগ্রেস পেতে পারে ৯১টি আসন আর বিজেপি পেতে পারে ৮৯টি আসন। অথচ ক্ষমতায় যেতে প্রয়োজন ১১৩টি আসন। আর তৃতীয় স্থানে থাকবে দেবগৌড়ার জনতা দল (এস)। জনতা দল এস মায়াবতীর বিএসপির সঙ্গে জোট করে পেতে পারে ৪০টি আসন।

এবিপি-সিএসডিএস তাদের সমীক্ষায় বলেছে, কংগ্রেস পেতে পারে ৮৫ থেকে ৯১টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ৮৯ থেকে ৯৫টি আসন। আর জেডিএস-বিএসপি জোট পেতে পারে ৩২ থেকে ৩৮টি আসন। আজ কলকাতার সংবাদপত্রে এই সমীক্ষা প্রতিবেদন ছাপা হয়।

এই জরিপ অনুযায়ী, ফলাফল হলে সে ক্ষেত্রে কংগ্রেসেরই সরকার গড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। কারণ, জেডিএস বা জনতা দল ধর্মনিরপেক্ষ চাইবে না ধর্মান্ধ বিজেপির সঙ্গে জোট গড়তে। সে ক্ষেত্রে তারা হয় কংগ্রেসকে সমর্থন দিতে পারে, নতুবা নির্বাচনের পর কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে সরকারও গড়তে পারে।