মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ফ্রান্স-জার্মানির উদ্বেগ

জার্মানির আখেন শহরে ইউরোপের সাম্য ও ঐক্যবিষয়ক ‘কার্ল পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। ছবি: সংগৃহীত
জার্মানির আখেন শহরে ইউরোপের সাম্য ও ঐক্যবিষয়ক ‘কার্ল পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়া-ইসরায়েল সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। বৃহস্পতিবার জার্মানির আখেন শহরে ইউরোপের সাম্য ও ঐক্যবিষয়ক ‘কার্ল পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে দুই রাষ্ট্রপ্রধান মধ্যপ্রাচ্যের সংকট পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ও সংশয় প্রকাশ করেন।

ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণার পর মধ্যপ্রাচ্যে সিরিয়ার গোলান উপত্যকায় হামলা চালায় ইসরায়েল। এ হামলার ঘটনায় দুই ইউরোপীয় নেতা যুদ্ধের পথ ছেড়ে শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন।

আখেন শহরে ‘কার্ল পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এবং জার্মানি ও ফ্রান্সের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ বছর ‘কার্ল পুরস্কার’ পেয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।

আখেনে ‘কার্ল পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁকে ধন্যবাদ জানানোর আগে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, বিগত কয়েক ঘণ্টা আগে মধ্যপ্রাচ্যে যা ঘটেছে, তাতে ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভাবতে হবে আমরা যুদ্ধ নাকি শান্তি চাই! ইউরোপকে সম্মিলিতভাবে দেখাতে হবে যে বিশ্বায়নের যুগে সমস্যা তৈরি করা নয় বরং সমাধানের উপায় খুঁজতে হবে।’

সব পক্ষকে সংযমী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল। ইউরোপীয় ঐক্যের জন্য অদম্য প্রচেষ্টা ও অবদানের কারণে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর প্রশংসা করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর থেকে ইউরোপের নির্ভরশীলতা কমিয়ে ইউরোপকে নিজেদের ভাগ্য নিজেদের হাতে নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত পরমাণু চুক্তি থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণার পর ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি দ্বিমত ও সংকটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ইউরোপীয় ঐক্য ও সংহতির প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ইউরোপের উদ্যোগ সব সময় অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ইউরোপীয় ঐক্যে অবদানের জন্য কার্ল পুরস্কার পেয়েছিলেন।