দক্ষিণ গোলার্ধে ৭৮ ফুট উঁচু ঢেউয়ের রেকর্ড

নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ অংশে ২০১৫ সালে এক ঝড়ের সময় বিশাল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। ছবি: সংগৃহীত।
নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ অংশে ২০১৫ সালে এক ঝড়ের সময় বিশাল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। ছবি: সংগৃহীত।

ঢেউ কতটা উঁচু হতে পারে? এক-দুই ফুট নয়, ৭৮ ফুট উঁচু বা প্রায় ৮ তলার সমান এক ঢেউয়ের রেকর্ড হাতে পেয়েছেন গবেষকেরা। দক্ষিণ গোলার্ধে ২৩.৮ মিটার ওই ঢেউ গবেষকেদের হাতে থাকা সবচেয়ে উঁচু ঢেউয়ের রেকর্ড। 

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান মেটওসান সলিউশন বলছে, গত মঙ্গলবার দক্ষিণ মহাসাগরে ক্যাম্পবেল দ্বীপের কাছে একটি বয়া থেকে উঁচু ঢেউ রেকর্ড করেন তাঁরা। এলাকাটি নিউজিল্যান্ডের ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণে।

জ্যেষ্ঠ সমুদ্রবিজ্ঞানী টম ডুরান্ট বলেছেন, দক্ষিণ গোলার্ধে এর আগে সর্বোচ্চ উঁচু ঢেউটি ছিল ২২ দশমিক শূন্য ৩ মিটার। ২০১২ সালে ওই ঢেউ রেকর্ড করা হয়। কিন্তু মঙ্গলবারের ভয়ংকর এক ঝড়ে আগের রেকর্ড ভেঙে গেছে।

টম ডুরান্ট বলেন, ‘আমাদের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দক্ষিণ গোলার্ধে এটাই সবচেয়ে উঁচু ঢেউ। বিশ্বজুড়ে ফুঁসে ওঠা তরঙ্গ ছড়িয়ে দেওয়ার ইঞ্জিন বলা যায় দক্ষিণ মহাসাগরকে।’

ডুরান্ট বলেন, ঝড়ের সময় সম্ভবত ২৫ মিটারের বেশি উঁচু ঢেউ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু বয়া তা রেকর্ড করার মতো উপযুক্ত জায়গায় ছিল না।

দক্ষিণ মহাসাগরে চরম অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য গত মার্চ মাসে ওই বয়া স্থাপন করা হয়। ব্যাটারি বাঁচাতে এটি প্রতি তিন ঘণ্টার মধ্যে ২০ মিনিট রেকর্ড করে। যখন রেকর্ড বন্ধ ছিল তখন সবচেয়ে উঁচু ঢেউ সৃষ্টি হয়েছিল।

স্মিথসোনিয়ান সাময়িকীর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ঢেউয়ের রেকর্ড হয়েছিল ১৯৫৮ সালে। আলাস্কার লিটুয়া সৈকতে ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামির সময় ওই ঢেউয়ের উচ্চতা হয়েছিল ৩০ দশমিক ৫ মিটার।