শান্তিনিকেতনে হাসিনা-মোদির ৫০ মিনিট বৈঠক হবে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রয়টার্স ফাইল ছবি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রয়টার্স ফাইল ছবি


কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের সময়সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২৫ মে বেলা ১টা ৪০ মিনিট থেকে আড়াইটা পর্যন্ত দুই নেতার মধ্যে ৫০ মিনিটের বৈঠক হবে।

দুই নেতা একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করেছে এই সময়সূচি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দেবেন। ওই দিন তিনি শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সহায়তায় নির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবন’-এর উদ্বোধন করবেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধনের পর নবনির্মিত ভবনেই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। এই মধ্যাহ্নভোজনের মাঝেই ৫০ মিনিটের এক বৈঠক হবে এই দুই নেতার মধ্যে। দুজনের মধ্যে আলোচনার নির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি না থাকলেও দ্বিপক্ষীয় এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করবেন তাঁরা। বেলা ১টা ৪০ মিনিট থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ৫০ মিনিট এই বৈঠক হবে।

পরের দিন ২৬ মে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন। বিদ্রোহী কবির জন্মদিনে সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। সমাবর্তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেওয়া হবে সাম্মানিক ডিলিট। এই আসানসোলের কাছেই বিদ্রোহী কবির জন্মভিটা চুরুলিয়া। সেখানেও ওই দিন থেকে শুরু হচ্ছে নজরুল মেলা। তবে সেই মেলা বা চুরুলিয়ায় শেখ হাসিনার কোনো কর্মসূচি নেই বলে জানা গেছে।

আসানসোলের কর্মসূচি সেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় ফিরে যাওয়ার জন্য অন্ডালের কাজী নজরুল বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। সেখান থেকে তিনি বিশেষ বিমানযোগে ঢাকায় ফিরবেন। আর এর মধ্য দিয়ে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের বিমান প্রথম স্পর্শ করবে অন্ডালের এই কাজী নজরুল বিমানবন্দর।