ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে তুরস্ক

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ছবি: রয়টার্স
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ছবি: রয়টার্স

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনায় কূটনৈতিক বিতর্কের জের ধরে তুরস্কে নিযুক্ত ইসরায়েলের কাউন্সেল জেনারেলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ তথ্য জানান। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য প্রকাশ করেছে। 

গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের মারাত্মক শক্তিপ্রয়োগের বিরুদ্ধে সোচ্চার তুরস্ক। এ ছাড়া জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার অনুষ্ঠানে ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা ও জামাতা জ্যারেড কুশনারের উপস্থিতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেছে দেশটি।

২০১৪ সালের পর গাজায় সোমবারের ওই রক্তক্ষয়ী ঘটনাকে সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ বলে বর্ণনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এটিকে ‘গণহত্যা’ বলে উল্লেখ করে ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বলে আখ্যা দেন তিনি। দেশটিতে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের পাশাপাশি তেল আবিব ও ওয়াশিংটন থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নিয়েছে তুরস্ক। শুক্রবার মুসলিম দেশগুলোকে নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছে তুরস্ক।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বহিষ্কারের জবাবে ইসরায়েলও একই পদক্ষেপ নিয়েছে। এ নিয়ে টুইটারেও বেধেছে টুইট-যুদ্ধ।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর টুইটের কড়া জবাব দিয়েছেন এরদোয়ান।

সোমবার পবিত্র জেরুজালেমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলাকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ দমনে ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালায়। এতে নিহত হন অন্তত ৫৮ ফিলিস্তিনি নাগরিক।

১৯৪৮ সালের ১৫ মে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের ভূখণ্ড থেকে উচ্ছেদ করে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই দিনকে স্মরণ করে প্রতিবছর নাকবা (মহাবিষাদ) দিবস পালন করে ফিলিস্তিনিরা।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ একে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ বলছে, ‘ভয়ানক মানবাধিকার লঙ্ঘন’ হয়েছে।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ২ হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলার পর সেখানে এত বেশি লোক হতাহত হওয়ার ঘটনা আর ঘটেনি।