এপ্রিলে কাতারে ২৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

কাতারে এপ্রিল মাসে ২৪ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে ২১ জনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে। বাকি তিনজনের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনাজনিত কারণে। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রবাসী মারা গেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার, চারজন। এই তালিকায় নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের মোট ৫জন প্রবাসী রয়েছেন। 

এপ্রিল মাসে কাতারে যাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে তাঁরা হলেন—মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার তেরাইল গ্রামের মুরাদের ছেলে মতিয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সবুজ মিয়া খন্দকার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার খালিয়া গ্রামের আবিদ মিয়ার ছেলে আবদুল মোমেন, সদর উপজেলার বিজেস্বর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে বিল্লাল হোসেন, সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের নুরুল হকের ছেলে আবদুল কাদের, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার শেখ চৌধুরীপাড়া গ্রামের শেখ আহমেদের ছেলে আবদুল কাদের রাব্বানি, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহজালালপুর গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে শাহ আলম, চাটখিল উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের ওয়াজীউল্লাহর ছেলে গোলাম কিবরিয়া,সেনবাগ উপজেলার কালারাতিয়া গ্রামের এলাহি বক্সের ছেলে মহিনউদ্দীন, লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ শহিদ, সদর উপজেলার কফিলাতলি গ্রামের আহসান উল্লাহর ছেলে হাবিবুর রহমান, মাদারীপুর জেলার কালকিনী উপজেলার ককিরচর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে জাহাঙ্গীর, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার সাতনাই গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে চান মিয়া, ঢাকার দোহার উপজেলার মধ্য দোহার গ্রামের চান মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলম, সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার খাসদবির গ্রামের আবদুল হাসিবের ছেলে গালিব ইকবাল শাহীন, টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর উপজেলার বেতুয়া গ্রামের কাদেরের ছেলে জুলহাস, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, যশোর জেলার কোতোয়ালি উপজেলার রসুলপুর গ্রামের গোলাম নবীর ছেলে এমদাদুল হক, চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারি থানার মির্জাপুর গ্রামের মোহাম্মদ ইয়াকুব আলীর ছেলে মোহাম্মদ ইউসুফ, সীতাকুণ্ড  উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের হারা মোহন নাথের ছেলে মাখন চন্দ্র নাথ, হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার গোহারুয়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে দেলোয়ার হোসেন।

দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের মোস্তফা উদ্দীনের ছেলে আতিকুর রহমান, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার জরগাচা গ্রামের জমারত আলীর ছেলে আবদুল মজিদ ও মাদারীপুর জেলার কালকিনী উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের আমারত মৃধার ছেলে ফয়সাল মৃধা।

দুর্ঘটনায় নিহতদের পক্ষে ক্ষতিপূরণ আদায়ে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে করেছে কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম শাখা।