ভিসা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান, আটক ৪০

আটক ভিসা ব্যবসায়ীদের কয়েকজন
আটক ভিসা ব্যবসায়ীদের কয়েকজন

ভিসা ব্যবসার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে কাতারে ৪০ জনকে আটক করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অপরাধ অনুসন্ধান বিভাগ। আটকের সময় তাঁদের সঙ্গে কর্মীদের পাসপোর্ট, প্রতিষ্ঠানের সিলসহ অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করা হয়।  সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কাতার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য় এ তথ্য জানায়। তবে আটক ৪০ জনের নাম ও জাতীয়তা প্রকাশ করা হয়নি।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ২১ নম্বর আইন, যা অভিবাসীদের আগমন, বহির্গমন ও আবাসন আইন নামে পরিচিত, এই আইন ভঙ্গের দায়ে তাঁদের আটক করা হয়েছে। কাতারে শ্রমিকের পালিয়ে যাওয়া এবং বেকার শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এই আটক অভিযান চালানো হয়।  অপরাধ অনুসন্ধান বিভাগের প্রধান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার আবদুল্লাহ জাবের আললিবদা বলেন, অভিবাসন আইন বাস্তবায়নে এই বিভাগের সদস্যরা কাতারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। এর ফলে যারা অভিবাসন আইন ভঙ্গ করে নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে পালিয়ে অন্যত্র কাজ করছে, তাঁদের এবং আইন ভঙ্গকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু  হয়েছে। বিশেষ করে যারা নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান খুলে ভিসা ব্যবসা করছে, তাঁদের কারণেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।  এমন নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের আটক করার পর যেসব কর্মী এ রকম প্রতিষ্ঠানের ভিসায় কাতারে এসেছেন, তাঁদের জন্য অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ব্রিগেডিয়ার আবদুল্লাহ। তিনি সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অভিবাসন আইন বাস্তবায়নে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কোনো কর্মী বা প্রতিষ্ঠান যদি আইন ভঙ্গকারী হয়ে থাকে, তবে তাঁদের ধরে বিচারের আওতায় আনা হবে।  ভাসমান শ্রমিক ও পালিয়ে আসা শ্রমিক সমস্যা নিরসনে কাতারের নাগরিক ও অভিবাসীদের সহযোগিতা চেয়ে অপরাধ অনুসন্ধান বিভাগ। ভিসা ব্যবসা বা নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে পালিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে ৫০৭০১০৮৯ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানান অপরাধ অনুসন্ধান বিভাগের শাখা পরিচালক ক্যাপ্টেন উমর খলিফা। ২৪ ঘণ্টার যেকোনো সময়ে আরবি, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় এই নম্বরে অভিযোগ জানানো যাবে।  কাতারের অভিবাসন ও শ্রম আইন অনুযায়ী প্রত্যেক কর্মীর জন্য কাজের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের। এক প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যু হওয়া ভিসায় এসে অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করা অবৈধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। একইভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি কাতারে আনার পর কর্মীদের জন্য কাজের ব্যবস্থা না করে, সেটিও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে কাতার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখা অফিস।