পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন-পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ বিজেপির

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন-পরবর্তী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি বলছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকার হচ্ছে বিরোধী দল। পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জিতলেও পুরুলিয়া জেলার ফল উল্টো। সেখানে ভালো ফল করেছে বিজেপি। বিষয়টি নিয়েই পুরুলিয়া এখন উত্তপ্ত।

বিজেপি দাবি করেছে, গত ৩০ মে এবং ২ জুন এ জেলার বলরামপুর থানায় তাদের দলের দুই কর্মীকে হত্যা করে তাঁদের গাছ ও বিদ্যুতের হাইটেনশন তারে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনা নিয়ে রোববার বিজেপির ডাকে পুরুলিয়া জেলায় পালিত হয়েছে অর্ধদিবস হরতাল।

জাতীয় কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী গতকাল রোববার বহরমপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে এখন শাসক দলের হাতে আক্রান্ত ও খুন হচ্ছেন বিরোধীরা। রাজনৈতিক হিংসায় এখন সারা ভারতে শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। গোটা রাজ্যে চলছে হিংসার রাজনীতি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ নৈরাজ্যের দিকে যাচ্ছে। রাজ্যে বিজেপিকে খাল কেটে কুমির ডেকে এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি-তৃণমূল আঁতাত আছে বলেই আজ চাঞ্চল্যকর সারদা আর নারদা মামলার তদন্ত-প্রক্রিয়া থেমে গেছে।’

কলকাতার আইসিসিআর মিলনায়তনে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা ও দলের সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে এখন “হিটলারশাহি” চলছে। পঞ্চায়েত ভোটপর্বে এ রাজ্যে গণতন্ত্র ছিল না, এখনো নেই। পুলিশ আর শাসক দল এক হলে দলীয় কর্মীদের প্রাণ বাঁচবে কীভাবে? কার কাছে মানুষ প্রতিকার চাইবে?’

বিজেপির কর্মীদের শাসক দলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বিজেপির কর্মীদের এবার তৈরি থাকতে হবে। বিজেপি-প্রভাবিত বুদ্ধিজীবীদের সংগঠন ‘নব বঙ্গ’ ‘বাংলায় গণতন্ত্র হত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেখানে এ মন্তব্য করেন তিনি।