বিবস্ত্র করে ঘোরানো, ফেসবুকের প্রচারের পরই সরব পুলিশ

প্রতীকী ছবি। ছবি: এএফপি
প্রতীকী ছবি। ছবি: এএফপি

সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে কিশোর-কিশোরীরা। এর জেরে তাদের একজনকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হলো পুরো এলাকা। কিশোরী কাঁদছিল আর এভাবে না ঘোরানোর অনুরোধ করছিল। কিন্তু কে শোনে কার কথা। এলাকায় ঘোরানোর পরই ওই কিশোরীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ নিতে না চাইলেও ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্যর পরই পুলিশ অভিযোগ আমলে নেয়।

পাকিস্তানের পেশোয়ার শহরের হস্তনগরী এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, পেশোয়ারের হস্তনগরী এলাকায় কিশোরীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় মাজহার হোসেন নামের একজনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। তবে পুলিশ প্রথম ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ নিতে চায়নি।

পাকিস্তানের ওই সংবাদমাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়, গত বুধবার ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরীর সঙ্গে সামান্য বিষয় নিয়ে তার চাচাতো ভাইয়ের ঝগড়া হয়। এটা নিয়ে মারামারি বেধে যায়। এমন সময়ে সেখানে পৌঁছান মাজহার। তিনি ওই কিশোরীর জামা টেনে ছিঁড়ে ফেলেন। এরপর তাকে সারা এলাকায় বিবস্ত্র করে ঘোরান। এ সময় নিজের শরীর ঢেকে কাঁদছিল কিশোরী। তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছিল। তবুও মন গলেনি মাজহারের।

ভুক্তভোগী পরিবার, এ ব্যাপারে হস্তনগরী থানায় গেলে পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। অনেক অনুরোধ করা সত্ত্বেও মন গলেনি পুলিশের। এরপরই স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এ ঘটনায় সংবাদ প্রচার হয় এবং একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। নানা সমালোচনার মুখে পড়লে টনক নড়ে পুলিশের। অভিযোগ আমলে নেয় পুলিশ। কিন্তু পুলিশ শুধু হেনস্তার অভিযোগ নিয়েছেন। বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ব্যাপারে প্রাথমিক অভিযোগপত্রে লেখেননি।

এলাকার পুলিশ ও মেয়র বলেছেন, এ ঘটনার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ঘটনার পর পেশোয়ারের জেলা কাউন্সিলর অসীম খান ওই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি তাদের সর্বোচ্চ সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।