ফুয়েগোর অগ্ন্যুৎপাতে নিহত ৭৫, নিখোঁজ ১৯২

৩ জুন থেকে গুয়াতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। ছবি: রয়টার্স
৩ জুন থেকে গুয়াতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

গুয়াতেমালায় গত রোববার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় ৭৫ জন মারা গেছে। নিখোঁজ কমপক্ষে ১৯২ জন। আজ বুধবার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার (কনরেড) বরাতে বিবিসি অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় সৃষ্ট কাদা আর ছাইয়ের নিচে চাপা পড়েছে পাহাড়ি ঢালের অনেক গ্রাম। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখান থেকে গরম গ্যাস ও গলিত পাথরের লাভার স্রোত নামতে দেখা গেছে। তাই এসব এলাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।

কনরেডের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ ঘটনায় ১৭ লাখ মানুষের ওপর প্রভাব পড়বে। তিন হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, আগ্নেয়গিরিটি রাজধানী গুয়াতেমালা সিটি থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, আগ্নেয়গিরির একটি লাভা স্রোত এল রডিও গ্রামে গিয়ে পৌঁছায়। এতে ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়। মানুষ পুড়ে মারা যায়। ওই ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, অতিরিক্ত তাপে অনেকের চেহারা বিকৃত হয়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না।

দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বলছে, ছাই ও পাথর উদ্‌গিরণের কারণে দেশটির বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আকাশের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছাই ছড়িয়ে পড়ে।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার তথ্য অনুযায়ী, ১২ হাজার ৩৪৬ ফুট উচ্চতা থেকে এ উদ্‌গিরণ ঘটে। চলতি বছর এটি দ্বিতীয় উদ্‌গিরণের ঘটনা। এখান থেকে ধোঁয়া ও কালো ছাই নির্গত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই অঞ্চলের অনেক অবকাঠামো ও কফিখেতের ক্ষতি হয়েছে।

গুয়াতেমালায় সান্তিয়াগোতি (পশ্চিম) ও প্যাকায়া নামের আরও দুটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।

এ ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।