ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোয় দোষী সাব্যস্ত হন মোহাম্মদ আলী

মোহাম্মদ আলী
মোহাম্মদ আলী

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোর দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা প্রয়াত মোহাম্মদ আলীকে ক্ষমা করার কথা ভাবছেন। শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭–এর বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডায় যাওয়ার আগে শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। 

ট্রাম্প বলেন, তিনি যে তিন হাজার লোককে ক্ষমা করার কথা ভাবছেন, তাঁদের মধ্যে কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা আলীও রয়েছেন। কারণ এসব ব্যক্তির অনেকের নামের প্রতি সুবিচার করা হয়নি। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে ভাবছি। আমি তাঁকে ও অন্যদের বেশ গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছি। এমন কিছু ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল, যা অন্যায্য।’

ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পর আলীর আইনজীবী রন টুইট জানিয়েছেন, এটার আর দরকার নেই। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্যোগকে স্বাগত জানান তিনি। তবে ক্ষমার আর প্রয়োজন নেই। ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সর্বসম্মতভাবে মোহাম্মদ আলীর দণ্ড বাতিল করে দিয়েছেন। যেখানে কোনো দণ্ডই নেই, সেখানে এ রকম ক্ষমার আর প্রয়োজন থাকে না।

মোহাম্মদ আলী ২০১৬ সালে পারকিনসন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। খ্রিষ্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে কাজ করতে বলা হয়। কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণ দেখিয়ে তিনি যুদ্ধে যেতে অস্বীকৃতি জানান। পরের বছরের জুনে তিনি আইন লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত হন। তাঁকে ১০ হাজার ডলার জরিমানা ও পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট পরে ওই আদেশ বাতিল করেন।