ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠককে স্বাগত জানাবেন পুতিন

চীনে এসসিও সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স
চীনে এসসিও সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত থাকলে যত দ্রুত সম্ভব প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি-৭-এ অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে তাঁর কোনো তাড়া নেই। কারণ, তিনি মনে করেন, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থাও (এসসিও) বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর কিংদাওতে এসসিও সম্মেলন শেষ হয় গতকাল রোববার। সম্মেলন যোগদান শেষে পুতিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এসব কথা বলেন। ২০০১ সালে মার্কিন নিয়ন্ত্রিত কূটনৈতিক গ্রুপের পাল্টা হিসেবে এসসিওর যাত্রা হয়। এই সংস্থায় রয়েছে চীন, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তানসহ মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশ।

সম্প্রতি ট্রাম্প শিল্পোন্নত দেশগুলোর তালিকায় রাশিয়াকে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানায়। তবে অন্য সদস্যরা এতে সায় দেয়নি।

পুতিন বলেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৈঠকের বিষয়ে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে একমত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারবারই বলছেন, তিনি এ বৈঠককে সমীচীন বলে মনে করছেন। দুজনের মধ্যকার শেষ টেলিফোনে কথা টেনে পুতিন বলেন, ‘নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতার হুমকি নিয়ে ট্রাম্প উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। আমিও তাঁর সঙ্গে একমত হয়েছি।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট মনে করেন, ব্যক্তিগত পর্যায়ে দুজনের বৈঠক দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। কারণ, পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকি ও কূটনৈতিক বহিষ্কারের কারণে দুই দেশের সম্পর্ক এখন তলানিতে। পুতিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যখনই প্রস্তুত বলবে, তখনই বৈঠক হতে পারে। তবে তা আমার কাজের শিডিউলের ওপর নির্ভর করে।’ এ বৈঠক অস্ট্রিয়া বা ইউরোপের যেকোনো দেশ হতে পারে।

এসসিওর বিস্তৃতির প্রশংসা করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কানাডার কুইবেকে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭-এর শীর্ষ সম্মেলনে যে বিভক্তি দেখা গেছে, তার বিপরীতে এই বিস্তৃতিকে সংস্থার একতা হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

পুতিন বলেন, ‘এটি সত্য, মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে জি-৭-ভুক্ত দেশগুলো ধনী। কিন্তু এসসিওর অর্থনীতি অনেক বড়। এসব দেশের জনসংখ্যা বেশি, যা পুরো বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক।’