সৌর সড়ক নির্মাণ করবে জাপান

পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার দিনে দিনে বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে ফ্রান্স, জাপানসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশ একটু এগিয়েই। ২০২০ সালে জাপানে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক সামনে রেখে দেশটি পরিবেশবান্ধব সৌর সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে।

আগামী অর্থবছরেই টোকিওতে সরকারি স্থাপনাসহ বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে এসব সড়ক ব্যবহার শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে কানাগাওয়া প্রিফেকচারের সাগামিহারা এলাকায় সেভেন-ইলেভেন নামের একটি বিপণিবিতানের গাড়ি পার্কিংয়ে গত মে মাসে সৌর সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।

সৌর সড়কগুলোয় বসানো সৌরকোষ থেকে আসবে বিদ্যুতের সরবরাহ। ব্যবস্থাটিকে টেকসই আর মজবুত করতে কোষের ওপর সড়কের পৃষ্ঠটি নির্মিত হবে বিশেষ রেজিন দিয়ে। এই রেজিন ভেদ করে সূর্যের আলো ও উত্তাপ সৌরকোষ পর্যন্ত পৌঁছাবে। তবে গাড়ি চলাচলের ফলে সৃষ্ট চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না কোষগুলো।

জাপানেই কিন্তু প্রথমবারের মতো সৌর সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এর আগে ফ্রান্সে মোটরযান চলাচলের উপযোগী একটি সৌর সড়ক নির্মিত হয়েছে। নেদারল্যান্ডসেও সাইকেল চলাচলের জন্য নির্মিত হয়েছে একটি সৌর সড়ক।

জাপানের সেভেন-ইলেভেন বিপণিবিতানের ব্যবস্থাপকদের একজন জানান, তাঁদের গাড়ি পার্কিংয়ে নির্মিত সৌর সড়কটি বছরে ১৬ হাজার ১৪৫ কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। বিপণিবিতানের বিদ্যুতের মোট চাহিদার ৯ শতাংশের বেশি সরবরাহ এই প্রযুক্তি থেকে আসবে।

টোকিওর স্থানীয় সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে এই শহরের মোট বিদ্যুতের চাহিদার ৩০ শতাংশ পূরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে সৌর সড়কগুলো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে নির্মাণ ব্যয়ই প্রধান সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। ফ্রান্সে সৌর সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে খরচ পড়েছে ৫০ লাখ ইউরো (৪৯ কোটি টাকার বেশি)।