বজ্রপাতে পশ্চিমবঙ্গে ১৫ জনের মৃত্যু

বজ্রপাত। ফাইল ছবি
বজ্রপাত। ফাইল ছবি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য গতকাল মঙ্গলবার মারা গেছেন ১৫ জন। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আজ বুধবার থেকে বজ্রপাত নিয়ে আগাম সতর্কতা দেওয়ার জন্য রাজ্যের ইলেকট্রনিক মাধ্যম ও রেডিওতে প্রচারে নামছে রাজ্য সরকার।

রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে জানায়, এই ১৫ জনের মধ্যে বাঁকুরায় ৪ জনের, হুগলিতে ৩ জনের, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদীয়ায় একজন করে মারা গেছেন।

এদিকে সম্প্রতি সময়ে গোটা দেশে এত বজ্রপাতের ঘটনায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ও। কারণ শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটছে বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তর প্রদেশেও। এই মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞানী গোকুল চন্দ্র দেবনাথ বলেছেন, ‘মৌসুমি বায়ু জোরদার হলেই বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়বে । এতে করে উল্লম্ব মেঘ তৈরির সম্ভাবনা কমবে। ফলে কমবে বজ্রপাতও।’

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালের পর থেকে প্রতি বছর বজ্রপাতে ভারতে গড়ে ২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তবে আগাম বজ্রপাতের খবর দেওয়া গেলে এই সংখ্যা কমবে ।

রাজ্য সচিবালয় সূত্রে বলা হয়েছে, বজ্রপাতে প্রাণহানি কমানোর জন্য পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সাহায্য নিতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই প্রযুক্তির ব্যাপারে একটি মার্কিন সংস্থার সঙ্গে ইতিমধ্যে চুক্তিও হয়েছে। কোথায় কখন বজ্রপাত হতে পারে সে সম্পর্কে এই প্রযুক্তির সাহায্যে ৪০ মিনিট আগেই বার্তা দেওয়া যাবে।

যদিও রাজ্য সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, কোন জেলায় কখন, কোথায় বজ্রপাত হতে পারে তা সেখানকার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষত মোবাইল প্রযুক্তিতে যতক্ষণ না মানুষ অভ্যস্ত হচ্ছে। ফলে মাঠে প্রান্তরে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের কাছে এই খবর পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আজ বুধবার থেকে এই বজ্রপাত নিয়ে আগাম সতর্কতা দেওয়ার জন্য রাজ্যের বৈদ্যুতিক মাধ্যম ও রেডিওতে প্রচারে নামছে রাজ্য সরকার।