ইয়েমেনের প্রধান বন্দরে সৌদি জোটের হামলা

ইয়েমেনের প্রধান বন্দরনগরী হোদেইদাহে বুধবার হামলা চালিয়েছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের সেনারা। ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে তিন বছর ধরে চলা লড়াইয়ে এটি ছিল ওই জোটের অন্যতম বড় হামলা। হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানা যায়নি।

ইয়েমেন সরকার বলেছে, ইয়েমেনের দক্ষিণে লোহিত সাগর বন্দরে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সরকারি সেনাদের স্থল অভিযানে সহায়তা দিতে জোটের যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ থেকে ওই হামলা চালানো হয়েছে। ওই বন্দর ছাড়তে হুতি বিদ্রোহীদের সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর ‘গোল্ডেন ভিক্টোরি’ নামে এ অভিযান শুরু করে ইয়েমেনের বাহিনী।

হুতি বিদ্রোহীরা এই বন্দর ছাড়াও ইয়েমেনের রাজধানী সানা নিয়ন্ত্রণ করছে। ইয়েমেনের অধিকাংশ মানুষের জীবনযাত্রা এ হোদেইদাহ বন্দর নগরকেন্দ্রিক। এ ছাড়া বেশির ভাগ মানুষের বসবাস হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায়।

এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় হুতি বিদ্রোহী নেতা মোহাম্মদ আলী আল-হুতি লোহিত সাগরের কৌশলগত জাহাজ চলাচল পথ ধরে তেলের ট্যাংকারগুলোতে আক্রমণ চালানোর হুমকি দিয়েছেন। তিনি পশ্চিমা সমর্থিত ওই জোটকে এই বন্দরে নতুন করে হামলা না চালানোর ব্যাপারেও সতর্ক করে দেন।

হোদেইদাহ নগরের বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। এই বন্দরনগরে লড়াই শুরু হলে অন্তত আড়াই লাখ মানুষের জীবন হুমকিতে পড়তে পারে। সেই সঙ্গে ইয়েমেনে চরম ক্ষুধা ও নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত লাখ লাখ লোকের জন্য ত্রাণ ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ২০১৫ সালে আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট ইয়েমেনে দুই পক্ষের লড়াইয়ে অংশ নেয়। আল–জাজিরা ও রয়টার্স।