পরস্পরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন ট্রাম্প ও কিম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন পরস্পরকে নিজের দেশে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দুজনই পরস্পরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। গতকাল বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ। এর মাধ্যমে বৈরিতাপূর্ণ কোরীয় উপদ্বীপে রাতারাতি পরিবর্তনের সূচনা হতে যাচ্ছে বলে দাবি তাদের।
কেসিএনএ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, গত মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরে বৈঠকের সময় কিম ট্রাম্পকে পিয়ংইয়ং সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আর ট্রাম্প কিমকে ওয়াশিংটন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দুই নেতাই সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। এর মাধ্যমে বৈরিতা থেকে বন্ধুত্বের পথে রাতারাতি যাত্রা শুরু করল উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।

বিশ্ব মঙ্গলবার দেখল, একের পর এক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা, কথার লড়াই, পাল্টাপাল্টি হামলার হুমকি—সবকিছুকে পেছনে ফেলে দুই নেতা সিঙ্গাপুরে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছেন। হাত মিলিয়েছেন। কোনো ধরনের অঘটন ছাড়াই বৈঠক শেষ করে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী গণতান্ত্রিক দেশের নেতা ট্রাম্প গণতন্ত্রহীন দেশের শাসক কিমের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। দুই দেশের পতাকা একই সমতায় উড়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে একঘরে উত্তর কোরিয়া। সেখান থেকে বের হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো নেতাদের সঙ্গে কিমের বৈঠকে দেশটির আত্মবিশ্বাসী হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। ১৯৫০ সালে দুই কোরিয়া যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে মিত্র দক্ষিণ কোরিয়াকে সেনা সহযোগিতা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটি প্রায় ৩০ হাজার সেনা সেখানে মোতায়েন করেছে। কেসিএনএ বলেছে, দুই নেতা পরস্পরের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখিয়েছেন।